রোহিঙ্গাশূন্য হলো বড়ছনখোলা আশ্রয় ক্যাম্প
বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বড়ছনখোলা আশ্রয় ক্যাম্পের রোহিঙ্গাদের নয় দফায় সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার সর্বশেষ দফায় রোহিঙ্গাদের কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে হস্তান্তরের মাধ্যমে সীমান্তবর্তী ক্যাম্পটি রোহিঙ্গাশূন্য ঘোষণা করা হয়েছে।
শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনের উদ্যোগে প্রথম দফায় গত ২১ জানুয়ারি ২৮৩ রোহিঙ্গাকে হস্তান্তরের মাধ্যমে বড়ছনখোলা আশ্রয় ক্যাম্প রোহিঙ্গাশূন্য করার প্রক্রিয়া আরম্ভ হয়। তারপর পর্যায়ক্রমে দ্বিতীয় দফায় ৩৭০ জন, তৃতীয় দফায় ৮৯৬, চতুর্থ দফায় ৮৬১, পঞ্চম দফায় ৮৬৫, ষষ্ঠ দফায় ৮৩৭, সপ্তম দফায় ৮১১, অষ্টম দফায় ৮৩৭ জন এবং নবম দফায় ৮২৫ জনকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
তবে বান্দরবানে এখনো আরো দুটি আশ্রয় ক্যাম্পে রোহিঙ্গারা অবস্থান করছেন। তার মধ্যে নাইক্ষ্যংছড়ির দোছড়ি ইউনিয়নের বাহিরমাঠ রোহিঙ্গা আশ্রয় ক্যাম্পে ৭৮ পরিবারের লোকসংখ্যা ৩৬২ জন এবং ঘুমধুম ইউনিয়নের কোনাপাড়ায় নো ম্যানস ল্যান্ডের আশ্রয়কেন্দ্রে দেড় হাজার রোহিঙ্গা পরিবারে লোকসংখ্যা প্রায় আট হাজার জন।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সরওয়ার কামাল জানান, টানা নয় দিনের চেষ্টায় নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের বড়ছনখোলা আশ্রয় ক্যাম্পের ছয় হাজার ৫৮৫ জন রোহিঙ্গাকে উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। বর্তমানে নাইক্ষ্যংছড়ি সদর ইউনিয়নের সাপমারাঝিরি ও বড়ছনখোলা দুটি আশ্রয় ক্যাম্প রোহিঙ্গাশূন্য। পর্যায়ক্রমে ঘুমধুম ও দোছড়ি ইউনিয়নের অবশিষ্ট দুটি আশ্রয় ক্যাম্পের রোহিঙ্গাদেরও সরিয়ে নেওয়া হবে।
বিজিবির নাইক্ষ্যংছড়ি ৩১ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আনোয়ারুল আযীম জানান, সাপমারাঝিরির পর বড়ছনখোলা আশ্রয় ক্যাম্পটিও রোহিঙ্গাশূন্য ঘোষণা করা হয়েছে। ক্যাম্পগুলোতে নতুন রোহিঙ্গাদের বসতি গড়ে তোলার কোনো সুযোগ নেই। ক্যাম্পের আশপাশে বিজিবির প্রহরা বাড়ানো হয়েছে। সীমান্ত পেরিয়ে নতুন কোনো রোহিঙ্গা প্রবেশ করলে তাদের সরাসরি কুতুপালং ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হবে।