বাঘাইছড়িতে পাঁচ লাশ হস্তান্তর, পরিবারের দাবি সন্ত্রাসী না

Looks like you've blocked notifications!
রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় সেনাবাহিনীর সঙ্গে গুলিবিনিময়ের ঘটনায় নিহতদের লাশ আজ রোববার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করে পুলিশ। ছবি : এনটিভি

রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার বড়াদাম গ্রামে সেনাবাহিনীর সঙ্গে গুলি বিনিময়ের ঘটনায় নিহত পাঁচজনের লাশের ময়নাতদন্ত আজ রোববার খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতলে সম্পন্ন হয়েছে। এদিকে লাশ নিতে এসে নিহত দুজনের স্ত্রী দাবি করেছেন, তাঁদের স্বামীরা সন্ত্রাসী ছিলেন না।

আজ সকাল ৯টার দিকের ময়নাতদন্তের কাজ শুরু হয়ে দুপুরের মধ্যে তা সম্পন্ন করা হয় বলে জানিয়েছেন খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) সঞ্জীব ত্রিপুরা।

বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকির হোসেন ফকির বলেন, বেলা পৌনে ৩টায় দুজনের লাশ খাগড়াছড়ি জেলার ও তিনজনের লাশ রাঙামাটি জেলার স্বজনদের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে তাতুমনি ত্রিপুরার বাড়ি খাগড়াছড়ির মহালছড়ি ও কান্তি মারমা ওরফে খোকনের বাড়ি গুইমারায় বলে জানা গেছে। এ ছাড়া রূপায়ণ চাকমা ওরফে কিরণের বাড়ি বাঘাইছড়ি সদরে, বাবুল চাকমার বাড়ি উপজেলার সাজেক ইউনিয়নের দিপুপাড়ায় এবং জ্যাকশন চাকমার বাড়ি নানিয়ারচর উপজেলায়।

লাশ নিতে হাসপাতালে আসা নিহত কিরণের স্ত্রী মিরু চাকমা জানান, তাঁর স্বামী বাঁশ কাটতে গিয়ে ঘটনার শিকার হয়েছেন। ১৫ দিন আগে বাড়ি থেকে বের হলেও তাঁর সঙ্গে কোনো যোগাযোগ ছিল না।

নিহত বাবুল চাকমার স্ত্রী দিপা চাকমা দাবি করেন, তাঁর স্বামী সন্ত্রাসী নন। তাঁরা আগে চট্টগ্রামে পোশাক কারখানায় চাকরি করতেন। কয়েক মাস আগে বড়াদামে বোনের জামাইয়ের বাড়িতে ধান লাগানোর কাজে সাহায্য করতে যান। তিনি আরো বলেন, ঘটনার দিন রাতে তাঁরা স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে ছিলেন। গোলাগুলির শব্দ শুনে পালাচ্ছিলেন।