ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে ফেসবুকে, তিন তরুণের ‘স্বীকারোক্তি’
কিশোরীকে ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে তা ফেসবুকে প্রচারের ঘটনায় আদালতে তিন তরুণ স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ শুক্রবার বিকালে অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম সাবরীনা আলীর কাছে তারা ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। আদালত সূত্র বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়েছে।
জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা সবাই এসএসসি পরীক্ষার্থী।
জানা গেছে, ২০১৭ সালের ৪ নভেম্বর প্রথম ধর্ষণের ঘটনা ঘটলেও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ার পর গতকাল তিন শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনজনই আমতলি উচ্চ বিদ্যালয়ের এসএসসি পরীক্ষার্থী। বিষয়টি জানিয়েছেন আমতলি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাসেল চৌধুরী।
গ্রেপ্তার হওয়া তিন তরুণ হলেন মো. ফরহাদ হোসেন (১৮), বরকল উপজেলার কলাবুনিয়ার মো. হাফিজুল্লা রাহিদ (১৮) ও নাঈম ইসলাম (১৮)।
ভুক্তভোগী ছাত্রীর বড় ভাই বলেন, ‘আমার ১৩ বছর বয়সী ছোট্ট বোনটির ওপর এই যে বর্বরতা হয়েছে, আমি এর বিচার চাই। দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। আমার শিশু বোনটিকে তারা যেভাবে পাশবিক নির্যাতন চালিয়েছে এর বিচার না হলে ভবিষ্যতে এরা আরো বড় অপরাধ করবে।’
বাঘাইছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহাঙ্গীর জানান, গ্রেপ্তার হওয়া তিনজন ২০১৭ সালের ৪ নভেম্বর সেই কিশোরী বাড়ি ফেরার পথে গতিরোধ করে নির্জন জায়গায় নিয়ে ধর্ষণ করে এবং এর ভিডিও ধারণ করে।
ওসি আরো বলেন, 'পরে তারা এটি প্রচারের ভয় দেখিয়ে তিনজনে মিলে আরো দুইবার মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন এবং প্রতিবারই ভিডিও ধারণ করেন। এক পর্যায়ে এটি এলাকায় জানাজানি হলে বৃহস্পতিবার সকালে স্থানীয়রা এদের আটক করে পুলিশে খবর দেয়।'
ওসি জানান, তিন তরুণের বিরুদ্ধে বাঘাইছড়ি থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন, ২০০০ এবং পর্নোগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইন, ২০১২ অনুযায়ী মামলা হয়েছে।