খালেদা জিয়া অসত্য কথা বলেছেন : আইনমন্ত্রী
আদালত নিয়ে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, তিনি (খালেদা জিয়া) যে কথা বলেছেন তা অসত্য।
আজ রোববার রাজধানীর গুলশানে লেকশোর হোটেলে আয়োজিত এক কর্মশালা শেষে মন্ত্রী সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশন আয়োজিত ‘হিউম্যান রাইটস, সাসটেইনিবিলিটি রিপোর্টিং অ্যান্ড রেসপন্সিবল বিজনেস কনডাক্ট- হোয়াট ডাজ বিজনেস নিড টু নো’ শীর্ষক এ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ের বিষয়ে গতকাল বিএনপির নির্বাহী কমিটির সভায় খালেদা জিয়া বলেন, ‘অপরাধই নেই, তাহলে বিচারটা করবে কিসের? তারা গায়ের জোরে ক্ষমতায় আসতে চায়।’ তিনি আরো বলেন, ‘বিচারকরা এখন স্বাধীনভাবে রায় দিতে পারছেন না। ক্ষমতাসীন দল সংবিধানকে নিজেদের মতো করে সংশোধন করে নিয়েছে।’ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার অন্যতম আসামি খালেদা জিয়া। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি এ মামলার রায় ঘোষণা করা হবে।
এরই পরিপ্রেক্ষিতে আইনমন্ত্রী বলেন, উনি যে কথা বলেছেন, সেটা অসত্য। তিনি আরো বলেন, ‘আমরা সবাই বাংলাদেশের বিচার বিভাগের এবং বিচারালয়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল এবং সেটাই সকলের ব্যক্ত করা উচিত। আমি দুঃখিত যে উনি এ কথা বলেছেন।’
আইনমন্ত্রী বলেন, ‘আগেও বলেছি এখনো বলছি, বিচার হয়েছে আদালতে, সাক্ষ্য প্রমাণ হয়েছে এবং সেই সাক্ষ্য প্রমাণাদি বিশ্লেষণ এবং বিবেচনায় নিয়ে বিচারক রায় দেবেন। এটুকুই জানি, তার বেশি জানি না।’
এ ছাড়া প্রধান বিচারপতি নিয়োগ প্রসঙ্গে আনিসুল হক বলেছেন, প্রধান বিচারপতি নিয়োগে সংবিধানে জ্যেষ্ঠতার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই।
আনিসুল হক বলেন, সংবিধানের ৯৫ অনুচ্ছেদে স্পষ্টভাবে বলা আছে রাষ্ট্রপতি প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেবেন। সেখানে কোথাও লেখা নেই যে, জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দিতে হবে। সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগে খুব শিগগিরই বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহ্হাব মিঞার পদত্যাগের বিষয়ে আইনমন্ত্রী বলেন, তিনি পদত্যাগ করতেই পারেন। এটা তাঁর ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত। এখানে আইনমন্ত্রীর কিছু বলার নেই। এ সময় বিচারপতি নিয়োগের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখবেন, সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগে খুব শিগগিরই বিচারপতি নিয়োগ দেওয়া হবে।’
বাংলাদেশ এমপ্লয়ার্স ফেডারেশনের সভাপতি কামরান টি রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আন্তর্জাতিক এমপ্লয়ার্স সংস্থার মহাসচিব লিন্ডা ক্রোমজং, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের সদস্য ও ডেইলি সান পত্রিকার সম্পাদক এনামুল হক চৌধুরী, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মো. আশরাফ শামীম বক্তব্য দেন।