রাষ্ট্রপতি পদে আবদুল হামিদের মনোনয়নপত্র দাখিল
রাষ্ট্রপতি পদে মো. আবদুল হামিদের পক্ষে মনোনয়নপত্র দাখিল করা হয়েছে।
রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) খান মো. নূরুল হুদার কাছে আবদুল হামিদের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
এ সময় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমদ, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি ও সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজ উপস্থিত ছিলেন।
রাষ্ট্রপতি পদে মনোনয়ন দাখিল শেষে ওবায়দুল কাদের সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আমাদের কাছে অনেকেই আছেন। আমাদের কাছে মনে হচ্ছে, তিনিই জনগণের কাছে সর্বাধিক গ্রহণযোগ্য ব্যক্তি, জনগণের কাছে সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তি। রাষ্ট্রপতি তো দলের রাষ্ট্রপতি হবেন না, তিনি হবেন দেশের রাষ্ট্রপতি। কাজেই এই ধরনের একজন মানুষকেই খুঁজে নিয়েছি।’
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী আরো বলেন, আবদুল হামিদ হচ্ছেন ভাটি বাংলার বীরপুরুষ, মুক্তিযোদ্ধা। আওয়ামী লীগের পছন্দের এ মানুষটিকে দেশের মানুষ গ্রহণ করছে আস্থার সঙ্গে। এখন জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করলেই আওয়ামী লীগ খুশি।
পরে প্রতিনিধিদলের সদস্যরা রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সঙ্গে টেলিফোনে কথা বলে মনোনয়ন দাখিলের বিষয়ে তাঁকে অবগত করেন।
গত শুক্রবার সকালে জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ আ স ম ফিরোজের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রপতি পদে আওয়ামী লীগের জন্য নির্বাচন কমিশন থেকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করে। এরপর রাতে তাঁরা মনোনয়নপত্র নিয়ে বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের হাতে তুলে দেন।
নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য নির্বাচনী কর্তার কাছে মনোনয়নপত্র দাখিল ৫ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টা, মনোনয়নপত্র পরীক্ষা ৭ ফেব্রুয়ারি সকাল ১০টা থেকে শেষ না হওয়া পর্যন্ত, প্রত্যাহার ১০ ফেব্রুয়ারি বিকেল ৪টা পর্যন্ত এবং সংসদ ভবনে ভোটগ্রহণ করা হবে ১৮ ফেব্রুয়ারি বিকেল ২টা থেকে ৫টা পর্যন্ত। তবে অন্য কোনো প্রার্থী না থাকলে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে না।
এবারের নির্বাচনে ভোটার ৩৪৮ জন। সংসদ সদস্য ৩৫০ জন হলেও মৃত্যুজনিত কারণে দুটি আসন শূন্য রয়েছে। এই নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীও ভোট দেবেন।