‘সাইড দিতে দেরি হওয়ায় গাড়ি চাপায় হত্যা’, পুলিশকে ‘মারধর’
সড়কে সাইড দিতে দেরি হওয়ায় এক প্রবাসীকে গাড়ি চাপা দিয়ে হত্যা ও কনস্টেবলকে মারধরের ঘটনায় আসামি নাজমুল হুদা ওরফে আল-আমিনকে (২৫) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত।
আজ সোমবার ঢাকার মহানগর হাকিম রায়হান উল ইসলাম এ আদেশ দেন। নিহত প্রবাসীর নাম মো. মোতালেব হোসেন (৪৫)। তিনি ইতালিতে ছিলেন।
আদালতের সাধারণ নিবন্ধন কর্মকর্তা ( জিআরও) মো. মুকবুল হোসেন এনটিভি অনলাইনে জানান, পুলিশকে মারধরের ঘটনায় গত শনিবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে আল-আমিনকে হাজির করে পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। কিন্তু ওই দিন মামলার কেইস ডকেট ( মূল নথি) না থাকায় বিচারক আজ রিমান্ড শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। আজ আল-আমিনকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক রিমান্ডের আবেদন নাকচ করে, কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
জিআরও মুকবুল হোসেন আরো জানান, এছাড়া আল-আমিনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ এনে আরেকটি মামলা করা হয়েছে। সেই মামলায় তাকে গতকাল রোববার গ্রেপ্তার দেখিয়ে পুলিশ সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে। আগামী ৮ ফেব্রুয়ারি সেই মামলার রিমান্ড শুনানির জন্য দিন ধার্য রয়েছে।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, মো. হুমায়ন মোল্লা পরিবার পরিজন নিয়ে ধানমণ্ডিতে থাকেন। গত ২ ফেব্রুয়ারি রাতে ধানমণ্ডির হোয়াইট হল কমিউনিটি সেন্টারে তাঁর মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। সেই অনুষ্ঠান রাত ১টা ১৫ মিনিটে শেষ হওয়ায় তিনি বরযাত্রী ও অতিথিদের বিদায় দিচ্ছিলেন। সেই সময় কমিউনিটি সেন্টারের সামনে সামান্য জটলা সৃষ্টি হয়েছিল। এসময় নাজমুল হুদা আল-আমিন একটি বিএমডব্লিউ গাড়ি নিয়ে রাস্তা দিয়ে প্রচণ্ড গতিতে যাচ্ছিলেন। হুমায়ন মোল্লা গাড়িটিকে হাতে ইশারা দিয়ে একটু অপেক্ষা করতে বলেন। এ ঘটনায় আল-আমিনসহ গাড়ির ভেতরে থাকা সবাই বের হয়ে গালাগাল দিতে দিতে থাকে। এই বলেই বরযাত্রীদের ওপর চড়াও হন তারা। এর কয়েক মিনিট পরই আল-আমিন ও তার সঙ্গীরা উল্টো পথে দ্রুত গতিতে গাড়ি চালিয়ে হুমায়নসহ কয়েকজনকে চাপা দিয়ে পালিয়ে যান। এতে ঘটনাস্থলেই ৬/৭ জন গুরুতর আহত হন।
নথিতে আরো বলা হয়েছে, এ ঘটনায় আহত মো. মোতালেব হোসেনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পরে সেই আল-আমিনকে থানায় নেওয়া হলে তিনি পুলিশকে গালিগালাজ করতে থাকেন। এক পর্যায়ে এক কনস্টেবলকে মারধর করেন। এ ঘটনায় শনিবার সকালে আল-আমিনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করে পুলিশ।
এর পরে আবার শনিবার রাতে ভুক্তভোগী হুমায়ন মোল্লা বাদী হয়ে ধানমণ্ডি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।