ভিআইপিদের জন্য লেনের প্রস্তাবে ‘ধিক্কার’
ঢাকার সড়কে অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের (ভিআইপি) জন্য পৃথক লেনের প্রস্তাবের ঘটনায় ধিক্কার জানিয়েছেন মানবাধিকারকর্মী সুলতানা কামাল।
গণজাগরণ মঞ্চের পঞ্চম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে আজ সোমবার রাজধানীর শাহবাগে আয়োজিত আলোচনাসভায় এসব কথা বলেন সুলতানা কামাল।
মানবাধিকারকর্মী আরো বলেন, ‘ন্যায়বিচার তো নাই, ন্যায়বিচারের প্রত্যাশাও মানুষের মন থেকে চলে যাচ্ছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘এখন যারা ক্ষমতায় বসেছেন তাঁরা তাঁদের উত্তরাধিকারকে বেচে বেচে নিজেদের জীবনে সমস্ত সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছেন।’
‘মত প্রকাশে বাধা, সাম্প্রতিক কালাকানুন: কোন পথে বাংলাদেশ বিষয়ে আলোচনাসভায়’ সুলতানা কামাল অভিযোগ করেন, ‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনার কথা বলে সরকার জনগণের সাথে প্রতারণা করছে।’
সুলতানা কামাল বলেন, ‘যেখান দিয়ে সাধারণ মানুষ চলাফেরা করবে সেখানেও তাদের জন্য আলাদা জায়গা করে দিতে হবে। এই যদি মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীন হওয়া বাংলাদেশের চিত্র তাঁদের মনে থেকে থাকে তাদের ধিক্কার জানাই। তাঁদেরকে বলতে চাই তাঁরা মুক্তিযুদ্ধকে ব্যবহার করে নিজেদের সমস্ত সুযোগ সুবিধা নিচ্ছেন। কিন্তু মুক্তিযুদ্ধ আমাদের উত্তরাধিকার। সু অধিকারী কোনোদিন তাঁর উত্তরাধিকারকে বেচে না। এখন যারা ক্ষমতায় বসেছেন তাঁরা তাঁদের উত্তরাধিকারকে বেচে বেচে নিজেদের জীবনে সমস্ত সুবিধা নেওয়ার চেষ্টা করছেন।’
আজ মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব জানান, তারা একটি প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় জমা দিয়েছেন, যাতে ভিআইপিদের পৃথক লেনের নির্মাণের প্রস্তাব রয়েছে।
ডিজিটাল নিরাপত্তার কথা বলে সরকার জনগণের বাকস্বাধীনতা হরণের আয়োজন করছে বলেও অভিযোগ সুলতানা কামালের।
দেশে গণতন্ত্রহীনতা ও অন্ধকারে নিমজ্জিত বলে অভিযোগ করেন গণজাগরণ মঞ্চের মুখপাত্র ইমরান এইচ সরকার।
১৯৭১ সালে যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে ২০১৩ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর শাহবাগে জড়ো হয় মানুষ। অভিযুক্ত আবদুল কাদের মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়ায় প্রতিবাদ জানায় তরুণ-তরুণীরা। তাঁরা কাদের মোল্লাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার দাবি জানায়। এসব তরুণ-তরুণীদের আহ্বানে সাড়া দিয়ে সর্বস্তরের মানুষের দিনের পর দিন ও রাতের পর রাত অবস্থান নেয় শাহবাগ মোড়ে। এভাবেই গড়ে ওঠে গণজাগরণ মঞ্চ।