রায়ের পর সহিংসতা হলে একবিন্দুও ছাড় নয় : ডিএমপি
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় হওয়ার পর কেউ সহিংসতা সৃষ্টির চেষ্টা করলে একবিন্দুও ছাড় দেওয়া হবে না বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া।
আজ বুধবার দুপুরে ডিএমপি কার্যালয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার জিয়া অরফানেজ মামলার রায়কে কেন্দ্র করে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
কাল বৃহস্পতিবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা করবেন বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামান। এ মামলার অন্যতম আসামি খালেদা জিয়া। অন্য আসামিরা হলেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সলিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
এই রায় ঘোষণাকে কেন্দ্র করে রাজনীতিতে টানটান উত্তেজনা চলছে।
আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, কেউ যদি যান চলাচলে বাধা না দিয়ে এবং জনগণের ভোগান্তি সৃষ্টি না করে গণতান্ত্রিক কর্মসূচি ও রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করে, তাহলে বাধা দেওয়ার প্রশ্নই আসে না। তবে রাস্তার ওপর প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে কোনো ধরনের সমাবেশ বা মিছিল করা যাবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের প্রধান আরো বলেন, ‘আমরা অবশ্যই দেশের আইন ও বিধি মেনে কাজ করব। আমরা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী, কারো ওপর অন্যায় আচরণ আমাদের দায়িত্ব নয়। তবে সহিংসতা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একবিন্দুও ছাড় দেওয়া হবে না।’
দুই কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানসহ সাতজনের বিরুদ্ধে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলাটি দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মামলার এজাহারে বলা হয়, ১৯৯১ সালে খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে এতিম তহবিল নামে নতুন একটি হিসাব খোলা হয় এবং বিদেশ থেকে সাড়ে চার কোটি টাকা আসে ওই হিসাবে। পরে ওই তহবিল থেকে দুই কোটি ৩৩ লাখ টাকা জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টে স্থানান্তর করা হয়। অভিযোগ আনা হয়, ক্ষমতার অপব্যবহার করে সেখান থেকে আসামিরা দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেন। মামলা দায়েরের ১৩ মাস পর ২০০৯ সালের ৫ আগস্ট ছয়জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক হারুন-অর-রশিদ।