কুয়েতের আমিরের অনুদানে ট্রাস্ট, এক টাকাও তছরূপ হয়নি
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জানিয়েছেন, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সঙ্গে কুয়েতের তৎকালীন আমির বন্ধুত্ব ছিল। জিয়াউর রহমানের নামকে স্মরণীয় করে রাখতেই অনুদান দেন কুয়েতের আমির। তিনি বলেন, ‘জিয়া অরফানেজের একটি টাকাও তছরুপ হয়নি।’
আজ বুধবার গুলশানে নিজের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
আগামীকাল বৃহস্পতিবার জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায় ঘোষণার দিন ধার্য আছে। ওই মামলার প্রধান আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।
সংবাদ সম্মেলনে খালেদা জিয়া জানান, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট্রের সঙ্গে তিনি কোনোভাবেই জড়িত ছিলেন না। তিনি বলেন, ‘এ মিথ্যা মামলার ন্যায়বিচার হলে আমার কিছুই হবে না। ইনশা আল্লাহ আমি বেকসুর খালাস পাব।’
সংবাদ সম্মেলনে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট সংক্রান্ত বিষয় তুলে ধরেন খালেদা জিয়া।
খালেদা জিয়া বলেন, ‘শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের সঙ্গে কুয়েতের তৎকালীন আমিরের ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্ব ছিল। তাঁর নামকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য কুয়েতের আমির যে অনুদান প্রদান করেন তা তৎকালীন পররাষ্ট্রমন্ত্রী কর্ণেল মোস্তাফিজুর রহমানের উদ্যোগে নিয়ে আসা, সেই অর্থের বিলিবন্টন, তহবিল পরিচালনা অর্থাৎ জিয়া অরফানেজের সঙ্গে আমি কখনো কোনোভাবেই জড়িত ছিলাম না। তা ছাড়া এই অর্থ সরকারি অর্থ নয় এবং ট্রাস্টটিও প্রাইভেট ট্রাস্ট। ভুয়া কাগজপত্র তৈরি করে এ মিথ্যা মামলায় আমাকে জড়িত করা হয়েছে। আমার আইনজীবীরা আদালতে তা প্রমাণ করেছেন।’
বিএনপির চেয়ারপারসন বলেন, ‘সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, জিয়া অরফানেজের একটি টাকাও তছরূপ হয়নি। সমস্ত টাকা প্রতিষ্ঠানের নামেই ব্যাংকে জমা আছে। এখন সুদাসলে সেই টাকা বেড়ে প্রায় তিনগুণ হয়েছে। এ মিথ্যা মামলায় ন্যায়বিচার হলে আমার কিছুই হবে না। ইনশা আল্লাহ্ আমি বেকসুর খালাস পাব।’
খালেদা জিয়া বলেন, ‘দেশে ন্যূনতম আইনের শাসন এবং বিচার বিভাগের স্বাধীনতা থাকলে এই জালিয়াতিপূর্ণ মামলা যারা দায়ের করেছে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হওয়া উচিত। যারা এই মামলা দায়েরের নির্দেশ দিয়েছে তাদেরও সাজা হওয়া উচিত। আর যদি শাসক মহলকে তুষ্ট করার জন্য অন্য রকম কোনো রায় হয়, তাহলে তা কলঙ্কের ইতিহাস হয়ে থাকবে। বাংলাদেশের মানুষ অন্যায়কারী কাউকেই ক্ষমা করে না, করবে না।’