কঠোর নিরাপত্তা, আদালতে প্রবেশে কড়াকড়ি
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায়কে কেন্দ্র করে আদালত চত্বর ও এর আশপাশে ব্যাপক নিরাপত্তা নেওয়া হয়েছে। রাজধানীর বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ আদালতে আজ বৃহস্পতিবার এ রায় ঘোষণা করা হবে। বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান বেলা ১১টায় এ রায় ঘোষণা করবেন। রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত থাকবেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
সকাল পৌনে ৯টার দিকে এ মামলার দুই আসামি ব্যবসায়ী সলিমুল হক কামাল ও শরফুদ্দিন আহমেদকে আদালতে আনা হয়েছে। এ মামলায় মোট আসামি ছয়জন। তার মধ্যে তিনজন পলাতক।
এই তিনজন হলেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
এ মামলার রায়কে কেন্দ্র করে দেশের মানুষের আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে রাজধানীর বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ আদালত।
সকালে আদালত চত্বরে গিয়ে দেখা গেছে, কড়া নিরাপত্তার মধ্যে আইনজীবী ও গণমাধ্যমকর্মীদের প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। আগে থেকে যেসব আইনজীবীর নাম নিবন্ধিত ছিল, শুধু তাঁদেরই আদালতে ঢুকতে দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আর প্রতিটি গণমাধ্যম থেকে একজন করে সাংবাদিককে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে। বেসরকারি টিভি চ্যানেলের ক্ষেত্রে শুধু রিপোর্টার ভেতরে প্রবেশের অনুমতি পাচ্ছেন, ক্যামেরাপারসন যেতে পারছেন না।
এদিকে, আদালত চত্বরে কোনো টিভি চ্যানেলকে গাড়ি নিয়ে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। আদালত চত্বরে ছবি তোলা বা ভিডিও করা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সকাল ৯টার কিছু পরে আদালত চত্বর পরিদর্শনে আসেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। এ সময় বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা আদালতে প্রবেশে কড়াকড়ির বিষয় নিয়ে তাঁর সঙ্গে কথা বলেন। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে মৃদু বিতর্ক হয়।
ডিএমপি কমিশনার এ সময় সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানানোর পাশাপাশি কেউ অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন।
গত ২৫ জানুয়ারি ওই মামলার শুনানি শেষে রায়ের দিন নির্ধারণ করেন আদালত ।
একনজরে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলা
- রমনা থানায় ২০০৮ সালের ৩ জুলাই মামলা দায়ের করা হয়।
- মামলার বাদী ও তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক হারুন-অর রশিদ।
- এজাহারে টাকা আত্মসাতের (ঘটনার) সময়কাল হিসেবে ১৩ নভেম্বর ১৯৯৩ হতে ২৮ মার্চ ২০০৭ সালকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
- ২০১০ সালের ৫ আগস্ট অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
- মামলার কার্যদিবস ২৬১ দিন ।
- খালেদা জিয়া হাজিরা দেন ৪৩ দিন।
- খালেদা জিয়া আত্মপক্ষ সমর্থনে বক্তব্য দেন আট দিন।
- গত ২৫ জানুয়ারি ২০১৮ রায়ের দিন ধার্য করেন বিশেষ আদালত-৫-এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান।
- রায়ের দিন ধার্য ৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৮।