রোববার আপিলের প্রস্তুতি খালেদা জিয়ার আইনজীবীর
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার সাজাপ্রাপ্ত বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রায় বাতিলের জন্য উচ্চ আদালতে যাবেন তাঁর আইজীবীরা।
আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে পুরান ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় এ রায় দেন। মোট ৬৩২ পৃষ্ঠার রায়ের বিশেষ অংশ পাঠ করেন বিচারক।
রায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ ছাড়া বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ বাকি আসামিদের ১০ বছর করে কারাদণ্ড ও দুই কোটি ১০ লাখ করে জরিমানা করা হয়েছে।
রায় ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন খালেদা জিয়া ও আরো দুই আসামি মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ।
এ মামলায় মোট আসামি ছয়জন। তার মধ্যে তিনজন পলাতক। এই তিনজন হলেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
রায় ঘোষণার পর খালেদা জিয়ার আইনজীবী ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, আবদুর রেজাক ও সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নুল আবেদীন গণমাধ্যমকে বলেন, তাঁরা আদালতের কাছে রায়ের অনুলিপি চেয়েছেন। আশা করছেন, রোববারের মধ্যেই হয়তো সেই অনুলিপি তাঁদের হাতে আসবে। অনুলিপি হাতে আসলে সেদিনই তাঁরা উচ্চ আদালতে নিম্ন আদালতের বিরুদ্ধে আপিল করবেন।
খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, উচ্চ আদালতে তিনি অবশ্যই সাজা থেকে রেহাই পাবেন।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
২০১০ সালের ৫ আগস্ট খালেদা জিয়া ও তাঁর ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক হারুন-আর রশিদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।
মামলায় খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান ছাড়া অন্য আসামিরা হলেন—মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।