খালেদা জিয়ার সাজায় খুশি দুদক
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের সাজায় খুশি দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই মামলায় সর্বোচ্চ শাস্তি যাবজ্জীবন হওয়া উচিত ছিল। কিন্তু সাজা হয়েছে তাতেই আমরা খুশি। খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম এবং অন্য আসামীদের ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও জরিমানা করা হয়েছে।’
প্রধান আসামী হওয়ার পরও খালেদা জিয়ার বয়স বিবেচনায় তাঁকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে জানিয়ে এই আইনজীবী বলেন, ‘এই রায়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে আসামিরা পরস্পর যোগ সাজসের মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ করেছেন এবং দুদকের পক্ষ থেকে আমরা অনেক পরিশ্রমের পর সেটা প্রমাণ করতে পেরেছি।’
মোশাররফ হোসেন কাজল আরো বলেন, ‘বিশেষ করে দুদকেরর তদন্তক কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ অনেক পরিশ্রম করেছেন। অপরাধী যত ক্ষমতাবানই হোক না কেন কেউ আইনের ঊর্ধ্বে নয়।’
এর আগে দুপুর ২টার দিকে ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান এ রায় দেন। মোট ৬৩২ পৃষ্ঠার রায়ের বিশেষ অংশ পাঠ করেন বিচারক। রায় ঘোষণার সময় উপস্থিত ছিলেন খালেদা জিয়া ও আরো দুই আসামি মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সলিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ।
এ মামলায় মোট আসামি ছয়জন। তাঁদের মধ্যে তিনজন পলাতক। এই তিনজন হলেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।
রায় ঘোষণার পর পরই কড়া নিরাপত্তার মধ্যে সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীকে পুরান ঢাকার পুরোনো কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
২০১০ সালের ৫ আগস্ট খালেদা জিয়া ও তাঁর ছেলে তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক হারুন-আর রশিদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।