রায় নিয়ে কোথাও বিক্ষোভ হয়নি : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার রায় নিয়ে কোথাও কোনো প্রতিবাদ বিক্ষোভ হয়নি। সারা দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ের পর সচিবালয়ে অনুষ্ঠিত এক ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী এ কথা বলেন।
খালেদা জিয়াকে নাজিমুদ্দিন রোডের কারাগারে রাখার কারণ উল্লেখ করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কয়েকবারের প্রধানমন্ত্রী। তিনি একটি বড় রাজনৈতিক দলের প্রধান। তাঁর সামাজিক অবস্থা বিবেচনা করেই তাঁকে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কারাগারের বিশেষ একটি সেলে রাখা হয়েছে।
আসাদুজ্জামান খাঁন বলেন, কারাবিধি অনুযায়ী খালেদা জিয়া কারাগারে বিশেষ মর্যাদা পাবেন। তাঁর প্রাপ্য সব সুযোগ-সুবিধাই তাঁকে দেওয়া হবে। এক প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, কারাগারের ভেতরে এটি একটি ডে-কেয়ার সেন্টার। এটিকে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে বসবাসের উপযোগী করা হয়েছে।
আজ বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত। এ ছাড়া বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ পাঁচ আসামির ১০ বছর করে কারাদণ্ড ও দুই কোটি ১০ লাখ করে জরিমানা করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার পুরান ঢাকার বকশীবাজারে স্থাপিত বিশেষ আদালতের বিচারক ড. আখতারুজ্জামান জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় এ রায় দেন। মোট ৬৩২ পৃষ্ঠার রায়ের বিশেষ অংশ পাঠ করেন বিচারক।
রায় ঘোষণার পর খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের কারাগারে নেওয়া হয় খালেদা জিয়াকে।
মামলার ছয় আসামির মধ্যে বিএনপির জ্যেষ্ঠ ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী এবং বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান পলাতক।
খালেদা জিয়া ছাড়া মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সলিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদকে কারাগারে পাঠানো হয়।