বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে প্রধান বিচারপতির শ্রদ্ধা

Looks like you've blocked notifications!
গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানান নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। ছবি : এনটিভি

গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন নবনিযুক্ত প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন। আজ শুক্রবার বিকেলে তিনি বঙ্গবন্ধুর সমাধি সৌধের বেদীতে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন। পরে তিনি ফাতেহা পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন।

এ সময় সুপ্রিম কোর্টের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার জেনারেল মো. জাকির হোসেন, হাইকোর্ট বিভাগের রেজিস্ট্রার মো. গোলাম রব্বানী, আপিল বিভাগের অতিরিক্ত রেজিস্ট্রার শেখ নাজমুল আলম, গোপালগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ মো. দলিল উদ্দিন, মুখ্য বিচারিক হাকিম নিলুফার শিরিন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান সরকার, পুলিশ সুপার মুহাম্মদ সাইদুর রহমান খান উপস্থিত ছিলেন।

পরে প্রধান বিচারপতি বঙ্গবন্ধু ভবনে রক্ষিত পরিদর্শন বইয়ে মন্তব্য লেখেন। এতে তিনি লেখেন, ‘হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙালি জাতিকে পরাধীনতার শৃঙ্খল মুক্ত করে বিশ্বের মানচিত্রে প্রতিষ্ঠা করেছেন স্বাধীন বাংলাদেশ। তিনি অনন্য অসাধারণ ও বিশ্ব বরেণ্য নেতা, তিনি বিশ্বের স্বাধীনতাকামী মানুষের পথিকৃৎ।’ তিনি আরো লেখেন, ‘আমি সর্বকালের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আত্মার মাগফিরাত ও শান্তি কামনা করছি।’

গত ২ ফেব্রুয়ারি দেশের ২২তম প্রধান বিচারপতি নিয়োগ পান আপিল বিভাগের বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন।

গত বছরের ১০ নভেম্বর প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা পদত্যাগ করার পর থেকেই এই পদ খালি ছিল। ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন আবদুল ওয়াহাব মিয়া। নতুন প্রধান বিচারপতি নিয়োগের পর তিনি পদত্যাগ করেন।

গত ১ আগস্ট উচ্চ আদালতের বিচারপতি অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে নিয়ে ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের পূর্ণ রায় প্রকাশ করা হয়। রায়ে প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বিভিন্ন পর্যবেক্ষণ নিয়ে ক্ষোভ ও অসন্তোষ প্রকাশ করে আসছিলেন মন্ত্রী, দলীয় নেতা ও আইনজীবীরা। তাঁরা প্রধান বিচারপতির পদত্যাগেরও দাবি তোলেন। এরই মধ্যে গত ২ অক্টোবর হঠাৎ করেই এক মাসের ছুটিতে যান প্রধান বিচারপতি। তিনি আবেদনে ৩ অক্টোবর থেকে ১ নভেম্বর পর্যন্ত ছুটিতে যাওয়ার কথা জানান রাষ্ট্রপতিকে।

পরে গত ১৩ অক্টোবর রাতে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে অস্ট্রেলিয়ার উদ্দেশে দেশ ছাড়েন সুরেন্দ্র কুমার সিনহা। ১০ নভেম্বর ছুটির মেয়াদ শেষ হওয়ার দিনই দেশের বাইরে থেকেই পদত্যাগপত্র পাঠান বিচারপতি সিনহা।