খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তা বাড়িয়েছে সরকার : নজরুল ইসলাম
বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে কারাগারে দিয়ে সরকার তাঁর জনপ্রিয়তা আরো বাড়িয়েছে বলে দাবি করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।
আজ রোববার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি মিলনায়তনে ডক্টরস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ড্যাব) আয়োজিত চিকিৎসক সমাবেশে বিএনপি নেতা এ কথা বলেন। বিএনপির চেয়ারপারসনের মুক্তির দাবিতে এ অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হয়।
বিএনপি নেতা বলেন, খালেদা জিয়ার মুক্তি এবং সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে যাবে তাঁর দল।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘যতই আঘাত করা হচ্ছে আমাদের জনগণের কাছে ততই গ্রহণযোগ্যতা বাড়ছে। বেগম খালেদা জিয়াকে জেলে দিয়ে তাঁর জনপ্রিয়তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, কমাতে পারে নাই সরকার। এই বাংলাদেশের কোনো মানুষ বিশ্বাস করে না যে, বেগম খালেদা জিয়া দুই কোটি টাকা তছরুপের জন্য দায়ী। এই শান্তিপূর্ণ আন্দোলন সরকার অপছন্দ করছে। কারণ অশান্তি না করলে তো তাদের ইচ্ছে পূরণ হয় না। কিন্তু আমরা শান্তিপূর্ণ আন্দোলনই করব।’
দলীয় নেতাকর্মীদের কোনো ধরনের উসকানি বা ফাঁদে পা না দেওয়ার জন্যও আহ্বান জানান নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, বিএনপি এখন অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে শক্তিশালী।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, গণতন্ত্র এবং দেশের স্বার্থেই বিএনপি চেয়ারপারসনকে কারাগার থেকে মুক্ত করে আনতে হবে।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণা করেন বিশেষ আদালতের বিচারক ডা. মো. আখতারুজ্জামান। রায়ে তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। এ ছাড়া বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ পাঁচ আসামিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড এবং দুই কোটি ১০ লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়।
রায় ঘোষণার পর পরই খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সলিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের সাবেক সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এঁদের মধ্যে তারেক রহমান, কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমান পলাতক।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৪৩ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে খালেদা জিয়া, তারেক রহমানসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
২০১০ সালের ৫ আগস্ট আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন দুদকের উপপরিচালক হারুন-আর রশিদ। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ তাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।