প্রশ্ন ফাঁস রোধে এমসিকিউ তুলে নেওয়ার চিন্তা চলছে
প্রশ্নপত্র ফাঁস রোধে বহুনির্বাচনী প্রশ্ন বা এমসিকিউ পদ্ধতি তুলে নেওয়ার চিন্তা-ভাবনা চলছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলী।
আজ সোমবার রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে অ্যাপটেক ও এডিএন এডু সার্ভিস আয়োজিত ‘অ্যাপটেক শিক্ষা প্রশিক্ষণ সেবা পণ্যের’ উদ্ভাবন অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ কথা বলেন।
কেরামত আলী বলেছেন, যারা প্রশ্নফাঁসের সঙ্গে জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কীভাবে তথ্য ও প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রশ্নফাঁস হচ্ছে এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ ও মতামত চাওয়া হচ্ছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রশ্নপত্র ফাঁসরোধে পরীক্ষার্থীদের নির্ধারিত সময়ের আধা ঘণ্টা আগে শ্রেণিকক্ষে প্রবেশ করার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এর ফলে শিক্ষার্থীদের কাছে পরীক্ষার পূর্ব মুহূর্তে প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোনো সুযোগ থাকছে না। সে জন্য এ ধরনের ঘটনা ঘটলেও এর প্রভাব পরীক্ষার্থীদের ওপর পড়ছে না।
কেরামত আলী আরো বলেন, ‘আমরা চিন্তা-ভাবনা করছি যে, এমসিকিউ প্রশ্ন তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত পর্যায়ক্রমে নেব যাতে, প্রশ্নপত্র ফাঁসের সম্ভাবনা থাকবে না। আগামী বছর থেকে প্রশ্নফাঁসের খবরটি আর আসবে না।’
শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবতাকে সামনে নিয়ে ‘ভিশন- ২০২১’ বাস্তবায়নের জন্য ২২টি কর্মপন্থা নির্ধারণ করে তা বাস্তবায়নে জোর দিচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় সরকারি অফিস আদালতে ই-সেবা চালু করা, ই-গভর্নেন্স চালুর মাধ্যমে সরকারি কর্মকাণ্ডের গতি বাড়ানো, ভূমি রেকর্ড ডিজিটালাইজেশন উল্লেখযোগ্য।
এডিএন এডু সার্ভিসেস লিমিটেড এবং অ্যাপটেকের যৌথ উদ্যোগে চারটি পাওয়ার ব্রান্ড-অ্যাপটেক কম্পিউটার এডুকেশন, এরিনা মাল্টিমিডিয়া, অ্যাপটেক হার্ডওয়ার অ্যান্ড নেটওয়ার্ক একাডেমি এবং অ্যাপটেক ইংলিশ লানিং একাডেমি উন্মোচন করেছে।
এডিএন এডু সার্ভিসেসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক তপন কান্তি সরকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ সচিব শ্যাম সুন্দর শিকদার, তথ্য মন্ত্রণালয়ের প্রধান সচিব নাসির উদ্দিন আহমেদ, এটুআই প্রকল্প পরিচালক কবির বিন আনোয়ার, বাংলাদেশ হাইটেক পার্ক অথরিটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হোসনে আরা (সচিব), অ্যাপট্যাকের প্রধান নির্বাহী অনিল পান্থ, আইডিয়া প্রকল্পের (জ্যেষ্ঠ উপদেষ্টা) হারুনুর রশিদ, কারিগরি শিক্ষা ব্যবস্থার মহাপরিচালক অশোক কুমার বিশ্বাস এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (একাডেমিক) ড. নাসরিন আহমাদ।
অ্যাপট্যাকের প্রধান নির্বাহী অনিল পান্থ বলেন, জনশক্তি তৈরিতে অ্যাপট্যাপ একটি পরিচিত নাম। আমাদের উদ্দেশ্য তরুণদের চাকরি উপযোগী দক্ষতা অর্জনে সহযোগিতাই নয়, বরং বিশ্ব বাজারে বাংলাদেশের জনগোষ্ঠীকে দক্ষ ও মেধাবী জনগোষ্ঠী হিসেবে পরিচিত করা।
বক্তারা বলেন, দেশে প্রায় চার কোটি ৪০ লাখ তরুণ রয়েছে। এই তরুণরাই পারবে আগামীর বাংলাদেশ বির্নিমাণে সহযোগিতা করতে। প্রতিবছর ২০ লাখ তরুণ শ্রমবাজারে আসছে। অন্যদিকে, ১৪ থেকে ১৫ লাখ তরুণ কর্মদক্ষতার অভাবে বেকার থেকে যাচ্ছে। তাই গুণগত মানসম্পন্ন শিক্ষা, অত্যাধুনিক শিক্ষা উপকরণ এবং শিক্ষা প্রশিক্ষণের মাধ্যমে তাদের গড়ে তুলতে পারলে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন সফল হবে।