রাঙামাটিতে ছাত্রলীগ নেতাকে মারধর, হরতালের ডাক
পাহাড়ি ছাত্র পরিষদের (পিসিপি) কর্মীরা আজ সোমবার সন্ধ্যায় রাঙামাটি জেলা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক সুপায়ন চাকমাকে মারধর করেছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে রাঙামাটি শহরে তাৎক্ষণিক বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে প্রধান সড়ক বন্ধ করে দিয়েছে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এ সময় পুলিশের সঙ্গে তাদের ধাওয়া-পাল্টাধাওয়া হয়।
এদিকে ছাত্রলীগ নেতাকে মারধরের প্রতিবাদে কাল মঙ্গলবার রাঙামাটি জেলায় সকাল-সন্ধ্যা হরতালের ডাক দিয়েছে ছাত্রলীগ।
জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক প্রকাশ চাকমা জানিয়েছেন, জেলা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক সুপায়ন চাকমা রাঙামাটি স্টেডিয়ামে ফুটবল খেলে সন্ধ্যায় বাসায় ফিরছিলেন। ওই সময়ে স্টেডিয়াম এলাকায় একদল পিসিপিকর্মী বিনা কারণে তাঁর ওপর অতর্কিত হামলা চালায় এবং পিটিয়ে মারাত্মকভাবে জখম করে। স্থানীয় লোকজন তাঁকে রাঙামাটি সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। এই ঘটনার প্রতিবাদে আমরা রাঙামাটি শহরে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করি এবং সড়ক অবরোধ করি।
এদিকে ছাত্রলীগের তাৎক্ষণিক সড়ক অবরোধের পর শহরের দোকানপাট বন্ধ হয়ে যায়। পুরো শহরে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। শহরের বনরূপা থেকে হ্যাপির মোড় এবং কলেজগেট এলাকায় উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করতে থাকেন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এই সময় ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা রাঙামাটির পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসানের গাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন।
পরে পুলিশ ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের ধাওয়া করে সরিয়ে দেয়। এ সময় পুলিশ ব্যাপক রাবার বুলেট ও ফাঁকা গুলি ছুড়ে। শহরে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। বন্ধ হয়ে গেছে সব দোকানপাট। শহরের বিভিন্ন স্থানে আটকে পড়ে অসংখ্য মানুষ।
এদিকে পাহাড়ি ছাত্র পরিষদ রাঙামাটি জেলা কমিটির সভাপতি রিন্টু চাকমা বলেছেন, ‘এই হামলার ঘটনার সঙ্গে পিসিপির কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা খবর নিয়ে জেনেছি, মাঠের খেলার বিরোধকে কেন্দ্র করে এটি হয়েছে। পিসিপি এই ধরনের কোনো ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়।’
রাঙামাটির পুলিশ সুপার সাঈদ তারিকুল হাসান জানিয়েছেন, খেলা নিয়ে দুই পক্ষের মারামারি হয়। এটা নিয়ে দুইপক্ষের মধ্যে মারামারি হয় এবং এটাকে কেন্দ্র করে মারামারি ছড়িয়ে পড়ে শহরে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে।