চুরির অভিযোগ করতে গিয়ে ডাকাতি মামলার আসামি

লক্ষ্মীপুরের রায়পুর থানায় চুরির অভিযোগ করতে গিয়ে ‘পূর্ব বিরোধের জেরে’ পুলিশ ডাকাতি মামলার আসামি বানিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন এক ব্যবসায়ী। এ মামলায় তিনি তিন মাস ১০ দিন কারাভোগ করে সম্প্রতি জামিন লাভ করেছেন।
রায়পুর উপজেলার জেনারেটর ব্যবসায়ী মো. রাশেদ (২৭) মঙ্গলবার জেলা শহরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন। এ সময় ওই ব্যবসায়ীর বৃদ্ধ মা ছায়েরা খাতুন ও বোন মরিয়ম বেগম উপস্থিত ছিলেন। তারা অভিযোগ করেন, প্রতিনিয়ত তাদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে এবং পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।
তবে পুলিশ অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে মো. রাশেদ বলেন, তিনি রায়পুর শহরের লেংড়া বাজার এলাকার জেনারেটর ব্যবসায়ী। গত ১৪ মার্চ রায়পুর প্রধান সড়কের বিসমিল্লাহ ফার্মেসির সামনের একটি ফল দোকান অপসারণকে কেন্দ্র করে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ময়নাল হোসেন খান নিজে বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় ‘উদ্দেশ্যমূলকভাবে’ তাঁকে আসামি করা হয়। এরপর ওই এসআই তাঁর কাছে ২০ হাজার টাকা দাবি করে। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে এসআই ক্ষিপ্ত হন বলে অভিযোগ করেন রাশেদ।
রাশেদ আরো অভিযোগ করেন, গত ৭ এপ্রিল রাশেদের মামার বাড়িতে চুরি হয়। তখন রাশেদ মামাতো ভাইকে নিয়ে থানায় অভিযোগ করতে যান। এ সময় থানা থেকে রাশেদকে আটক করে এসআই আবদুল মালেক। পরে উপজেলার পূর্বচরপাতা গ্রামের মহসিন কবিরের বাড়িতে ডাকাতির মামলার আসামি হিসেবে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ওই ডাকাতি মামলায় রাশেদকে একদিনের হেফাজতেও নেয় পুলিশ।
এ ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে ডাকাতি মামলা থেকে অব্যাহতি ও পুলিশি হয়রানি থেকে মুক্তি পেতে
জেলা পুলিশ সুপারের (এসপি) কাছে হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন রাশেদের পরিবার।
এ ব্যাপারে রায়পুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ময়নাল হোসেন খান বলেন, রাশেদর কাছে টাকা দাবির অভিযোগটি মিথ্যা। তাঁকে ডাকাতি মামলায় গ্রেপ্তার করেছেন অন্য একজন পুলিশ কর্মকর্তা। জামিনে বের হওয়ার পর অন্য মামলায় তাঁকে আসামি করার হুমকি দেয়ার অভিযোগ অস্বীকার করেন এ পুলিশ কর্মকর্তা।