ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে হত্যা, রায় শুনে আসামি অজ্ঞান
শেরপুরে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে এক গৃহবধূকে হত্যা করার দায়ে আশরাফ আলী (৩২) নামের এক ব্যক্তিকে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার বিকেলে শেরপুরে অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোসলেহ উদ্দিন এই রায় দেন।
এ সময় আসামি আশরাফ আলী আদালতেই উপস্থিত ছিলেন।
তাঁর বাড়ি শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার মোয়াকুড়া গ্রামে।
এদিকে রায়ের পর হাতকড়া পরিয়ে আসামি আশরাফকে এজলাশ থেকে বাইরে নিয়ে আসেন পুলিশ সদস্যরা। চার কদম হাঁটার পর হঠাৎ অচেতন হয়ে মেঝেতে পড়ে যান তিনি। পুলিশ সদস্যরা তাঁর মুখে পানি ছিটিয়ে চেতনা ফিরিয়ে আনেন। এরপর কারাগারে নিয়ে যান।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ইমাম হোসেন ঠান্ডু মামলার বিবরণ থেকে জানান, ঘটনাটি ২০১১ সালের ৭ মে রাতের। সেদিন নিহত হাজেরা খাতুন সন্তানকে নিয়ে ঘুমিয়ে ছিলেন। এ সময় তাঁর স্বামী বাড়িতে না থাকায় প্রতিবেশী আশরাফ আলী সিঁধ কেটে ঘরে ঢুকে হাজেরা খাতুনকে ধর্ষণের চেষ্টা করেন। হাজেরার বাধার মুখে ব্যর্থ হয়ে তাঁকে ছুরিকাঘাত করেন আশরাফ। এতে মারাত্মক আহত হন হাজেরা। এর পর পালিয়ে যান আশরাফ। এদিকে মৃত্যুর আগে গ্রামবাসীর কাছে আশরাফের নাম বলে যান হাজেরা। পরে আশরাফকে আটক করে পুলিশের হাতে তুলে দেয় গ্রামবাসী।
নিহত হাজেরা খাতুনের বাবা কাশেম আলী বাদী হয়ে আশরাফের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই আজ আদালত রায় ঘোষণা করেন।