বিনামূল্যে চক্ষুসেবা দিচ্ছে মবশ্বির-রাবেয়া ট্রাস্ট
মৌলভীবাজার পৌর এলাকার পশ্চিম ধরকাপন এলাকায় মবশ্বির-রাবেয়া ট্রাস্টের উদ্যোগে শুরু হয়েছে পাঁচ দিনব্যাপী বিনামূল্যের চক্ষুশিবির।
এই চক্ষুশিবিরে বিনামূল্যে দৃষ্টিশক্তি পরীক্ষা শেষে চোখের ছানিপড়া ২১০ জন ও চোখের নেত্রনালি (ডিসিআর) সমস্যাযুক্ত ৭০ জন রোগীকে অস্ত্রোপচারের জন্য বাছাই করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার সকাল ১০টায় মৌলভীবাজারের বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালের চিকিৎসা ব্যবস্থায় পঞ্চম ফ্রি চক্ষুশিবিরের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন মৌলভীবাজার-৩ আসনের সংসদ সদস্য সৈয়দা সায়রা মহসীন।
আয়োজকরা জানান, এ বছর ছানিপড়া ও নেত্রনালি (ডিসিআর) সমস্যায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা গত বছরের চেয়ে বৃদ্ধি পেয়েছে। ২৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ছানিপড়া রোগীদের বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালে অস্ত্রোপচার করা হবে। চোখের নেত্রনালি (ডিসিআর) অপারেশন ১ মার্চ শুরু হবে এবং প্রতিদিন পাঁচজন রোগীর অপারেশন করা হবে। গতকাল আয়োজনের প্রথম দিনেই দৃষ্টিশক্তি পরীক্ষা শেষে চশমা ও ওষুধ দেওয়াসহ মোট ১৫শ জনকে চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে।
মবশ্বির-রাবেয়া ট্রাস্টের চেয়ারম্যান আলহাজ সৈয়দ জুবায়ের আহমদের সভাপতিত্বে চক্ষুশিবিরের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন পৌর মেয়র মো. ফজলুর রহমান, বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালে সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ মশাহিদ আহমদ, মৌলভীবাজার প্রেসক্লাবের সহসভাপতি ও বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালের সহসাধারণ সম্পাদক আবদুল হামিদ মাহবুব, প্রেসক্লাবের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট রাধাপদ দেব সজল ও মৌলভীবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির সভাপতি ডা. ছাদিক আহমদ এবং ট্রাস্টের পরিচালক সৈয়দ হুমায়েদ আলী শাহীন।
ট্রাস্টের নির্বাহী পরিচালক এস এম উমেদ আলীর পরিচলনায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মৌলভীবাজার পাবলিক লাইব্রেরির সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম মুহিব, এটিএন বাংলার স্টাফ রিপোর্টার সৈয়দ মহসীন পারভেজ, দৈনিক মৌমাছি কণ্ঠের সম্পাদক শেখ সিরাজুল ইসলাম সিরাজ, মানবজমিন পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার মু. ইমাদ উদ দীন, বিশিষ্ট সমাজসেবী সৈয়দ আছাদ আলী, জামেয়া দ্বীনিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মাসুদ আহমদ প্রমুখ।
এর আগে গত বছর চক্ষুশিবিরে ছানিপড়া রোগী ১৯৫ জনকে ও চোখের নেত্রনালি (ডিসিআর) ৫১ জন রোগীকে অপারেশন করা হয়। এ ছাড়া ২০১৬ সালে ১২০ জন, ২০১৫ সালে ১১৭ জন এবং ২০১৪ সালে ৯০ জন ছানিপড়া রোগীকে অপারেশন শেষে চোখে লেন্স সংযোজন করা হয়।
মবশ্বির রাবেয়া ট্রাস্ট চক্ষুসেবার পাশাপাশি গৃহনির্মাণ, রিকশা বিতরণ, পবিত্র রমজান মাসে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ, হজ প্রশিক্ষণ, অসহায় ও এতিমদের জন্য নগদ অনুদান প্রদানসহ আর্তমানবতার সেবায় বিভিন্ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে আসছে।