বিমান বিধ্বস্ত, বৈশাখী টিভির সাংবাদিক নিখোঁজ

Looks like you've blocked notifications!
বৈশাখী টিভির সাংবাদিক আহমেদ ফয়সাল। ছবি : সংগৃহীত

ইউএস বাংলা এয়ারলাইনসের সেই বিমানের যাত্রী ছিলেন সাংবাদিক আহমেদ ফয়সাল। তিনি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বৈশাখীর স্টাফ রিপোর্টার। এখনো তাঁর কোনো খোঁজ পায়নি তাঁর সহকর্মীরা।

আজ সোমবার নেপালের কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিধ্বস্ত হয় বেসরকারি এয়ারলাইনস ইউএস বাংলার একটি বিমান। ঢাকা থেকে দুপুরে রওনা দেয় বিমানটি। বাংলাদেশ সময় দুপুর আড়াইটার দিকে বিধ্বস্ত হয় বিমানটি।

বৈশাখী টিভির হেড অব নিউজ অশোক চৌধুরী এনটিভি অনলাইনকে জানিয়েছেন, পাঁচদিনের ছুটি নিয়েছেন আহমেদ ফয়সাল। নেপালে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার খবর সংগ্রহের এক পর্যায়ে ওই বিমানের যাত্রীদের তালিকা আসে বৈশাখীর অফিসে। ওই তালিকায় ফয়সালের নাম পাওয়া যায়।

অশোক চৌধুরী জানান, ওই বিমানের যাত্রী তালিকায় থাকা নাম ও পাসপোর্টের নম্বরের সঙ্গে ফয়সালের নাম ও পাসপোর্টের নম্বরের মিল পাওয়া গেছে। পরে ইমিগ্রেশন পুলিশের সঙ্গেও যোগাযোগ করা হয়। ইমিগ্রেশন পুলিশের পাঠানো তথ্যের সঙ্গেও ফয়সালের তথ্যের মিল পাওয়া যায়।

অশোক চৌধুরী জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি ফয়সালের।

ইউএস বাংলা কর্তৃপক্ষ জানায়, চারজন ক্রু এবং ৬৭ জন যাত্রীসহ সর্বমোট ৭১ জনকে নিয়ে নেপালে যাত্রা করেছিল বিমানটি। এর মধ্যে বাংলাদেশি যাত্রী ছিলেন ৩২ জন। ৩৩ জন নেপালের। চীনের ও মালদ্বীপের দুই নাগরিকও আছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত ৫০ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে।

জানা যায়, সোমবার দুপুর ১২টা ৫১ মিনিটে ৭১ জন যাত্রী নিয়ে নেপালের উদ্দেশ্যে ঢাকা ছাড়ে ইউএস বাংলার ড্যাশ এইট কিউ ফোর হানড্রেড মডেলের এই বিমানটি। দুপুর ২টা ২০ মিনিটে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণের সময় বিমানটিতে আগুন ধরে যায়। সঙ্গে সঙ্গে রানওয়ে থেকে ছিটকে বিমানটি পাশের খালি মাঠে গিয়ে পড়ে। দুই ইঞ্জিনের বিমানটি ভেঙ্গে কয়েক টুকরো হয়ে পড়ে। বিক্ষিপ্ত অংশগুলোতে লাগা আগুনের কালো ধোঁয়ায় ছেয়ে যায় গোটা বিমানবন্দর।