কারচুপির অভিযোগে আ. লীগের বিদ্রোহী প্রার্থীর ভোট বর্জন
শেরপুরের নকলা উপজেলা পরিষদে চেয়ারম্যান পদে উপনির্বাচনে ভোট বর্জন করেছেন আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শাহ মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর আড়াইটার দিকে তিনি আওয়ামী লীগ প্রার্থীর সমর্থকদের ভোট কারচুপি এবং প্রশাসনের নীরবতায় ক্ষুব্ধ হয়ে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন।
নির্বাচনের আগেই বিএনপি নির্বাচন বর্জনের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় মূলত এ উপনির্বাচনে আওয়ামী লীগের দুই নেতা দলীয় ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন। নৌকা প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করেন আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট মাহবুবুল আলম সোহাগ। বিপরীতে মোটরসাইকেল প্রতীকে নির্বাচন করেন নকলা উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শাহ মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন।
আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই নির্বাচনী কেন্দ্রগুলোতে ভোটারের সংখ্যা ছিল কম। এর মধ্যেও বিভিন্ন কেন্দ্রে জালভোট প্রদানের অভিযোগ পাওয়া যায়। অন্তত দুটি কেন্দ্রে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের বাগবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়তে দেখা যায়।
এমন অবস্থায় দুপুরে স্বতন্ত্র প্রকারান্তরে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী শাহ মোহাম্মদ বোরহান উদ্দিন ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন। তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সমর্থকরা ব্যাপকহারে জালভোট দিয়েছে। একই সঙ্গে বিভিন্ন কেন্দ্রে জোরজবরদস্তিও করেছে তারা। এ ব্যাপারে ভোটের দায়িত্ব থাকা সরকারি কর্মকর্তা তথা প্রশাসনও ছিলেন নীরব। এসব কারণেই এই নির্বাচন প্রহসনে পরিণত হয়েছে মন্তব্য করে তিনি ভোট বর্জন করেন।
আজ সকাল ৮টা থেকে নকলা উপজেলার মোট ৬৩টি কেন্দ্রে এই উপজেলায় ভোট নেওয়া হয়। সকাল থেকে শান্তিপূর্ণভাবে ভোটগ্রহণ শুরু হলেও দুপুরে পাঠাকাটা কেন্দ্রে দুইপক্ষের মধ্যে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। পরবর্তী সময়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তা নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ছাড়া চন্দ্রকোনা প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি কেন্দ্রে জালভোটের অভিযোগ করেছেন প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা।
নকলা উপজেলা পরিষদে বিএনপিদলীয় চেয়ারম্যান মাহবুব আলী চৌধুরী ওরফে মনির চৌধুরীর মৃত্যুর পর পদটি শূন্য হয়। মাত্র ১১ মাস বাকি রয়েছে উপজেলা পরিষদের মেয়াদের। আর ১১ মাসের এই শূন্য পদ পূরণের জন্য নির্বাচন করেন আওয়ামী লীগের দুই নেতা।
উপজেলায় মোট ভোটার এক লাখ ৫১ হাজার ২৮২ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৭৪ হাজার ৩৫৮ জন ও নারী ৭৬ হাজার ৯২৫ জন। ৬৩টি কেন্দ্রের জন্য ৬৩ প্রিজাইডিং অফিসার, ৩০৫ সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং ৬১০ জন পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করেছেন।