কুড়িগ্রামে শিলাবৃষ্টিতে ঘরবাড়ি, ফসলের ক্ষতি

কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী ও ফুলবাড়ী উপজেলায় শিলাবৃষ্টিতে ঘরবাড়ি, বোরো ক্ষেতসহ মৌসুমী ফসলের ক্ষতি য়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে ২০ মিনিট স্থায়ী শিলাবৃষ্টি ও ঝড় হাওয়া প্রতিটি শিলাবৃষ্টি ১০০ থেকে ২৫০ গ্রাম ওজনের শিলাবৃষ্টি বর্ষিত হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নাগেশ্বরী পৌরসভা এলাকা, রামখানা, রায়গঞ্জ, নেওয়াশী, সেনপাড়া, বামনডাঙ্গা, গাগলা ও কালিগঞ্জে ঝড় হাওয়ার সঙ্গে ব্যাপক শিলাবৃষ্টি হয়। এ ছাড়া ফুলবাড়ী উপজেলার কাশিপুর ইউনিয়নের কদমেরতল, বালাবাড়ি ও অনন্তপুরে ব্যাপক শিলাবৃষ্টি বর্ষিত হয়েছে।
এতে করে দুই উপজেলার প্রায় শতাধিক ঘরবাড়ির পুরোনো টিন বড় আকারের শিলাবৃষ্টিতে সম্পূর্ণ নষ্ট হয়ে গেছে। শিলাবৃষ্টির সঙ্গে দমকা বাতাসে উড়ে গেছে বেশকিছু ঘরের চাল। এসব এলাকায় দমকা ঝড় হওয়ায় ভেঙে পড়েছে বাগানের গাছপালা।
নাগেশ্বরী পৌরসভা এলাকার গোলাম কিবরিয়া জানান, আকস্মিক শিলাবৃষ্টিতে তার ঘরের চালসহ ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
নাগেশ্বরী উপজেলার নেওয়াশী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমজাদ হোসেন বলেন, ‘শিলাবৃষ্টি ও ঝড় হাওয়ায় আমার ইউনিয়নের ক্ষতি হয়েছে।’ একই উপজেলার রায়গঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আবদুল্ল্যাল্লা আল ওয়ালিদ বলেন, ‘আমার ইউনিয়নের উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া ঝড় ও শিলাবৃষ্টিতে আগাম বোরো ধান, সুপারী বাগান ও মৌসুমী সবজিসহ গরীব মানুষের ঘরের টিনের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে।’
অন্যদিকে, এসব এলাকায় শিলাবৃষ্টিতে চলতি বোরো মৌসুমে ধান ক্ষেতের পাতা ছিড়ে ফসলের ক্ষতি হয়েছে। আগাম চাষ করা বোরোর ক্ষতি হয়েছে সবচেয়ে বেশি। তবে কি পরিমাণ বোরো ক্ষেতের ক্ষতি হয়েছে তা এখনও জানা যায়নি। এছাড়াও দমকা হাওয়ায় সুপারীর গাছ ভেঙে সুপারি বাগানের ক্ষতি হয়েছে।
এ ব্যাপারে নাগেশ্বরী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. শামসুজ্জামান বলেন, শিলাবৃষ্টি হলেও এ এলাকার প্রধান ফসল বোরো তেমন ক্ষতি হবে না। শিলাবৃষ্টিতে বোরো ধান গাছের পাতার কিছুটা ক্ষতি হলেও ফসলে এর কোনো প্রভাব পড়বে না।