আবারও হোঁচট খেল সাতক্ষীরা বিএনপি
সাংগঠনিক শূন্যতার মধ্যে আটকেপড়া সাতক্ষীরা জেলা বিএনপি কিছুটা এগোতে গিয়ে আবারও হোঁচট খেল। কেন্দ্রের নির্দেশনা পেয়ে মাত্র উপজেলাগুলোতে সংগঠন দাঁড় করানোর কাজে হাত দিতেই তা আবারও বন্ধ হয়ে গেছে।
আজ সোমবার কেন্দ্র থেকে ফের জানিয়ে দেওয়া হয়েছে কার্যক্রম আপাতত স্থগিত রাখতে। এর কারণ কী তা অবশ্য জানেন না সাতক্ষীরার নেতারা।
জেলা বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, ২০০৯ সালের ২৪ অক্টোবর থেকে সাবেক সংসদ সদস্য হাবিবুল ইসলাম হাবিব ও সৈয়দ ইফতেখার আলী জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হিসেবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু এই দুই নেতার মধ্যে বিরোধ এতটাই চরমে ওঠে যে ‘যাকে দেখতে নারি তার চলন বাঁকা’ অবস্থার সৃষ্টি হয়। হাবিবুল ইসলাম হাবিব নিজেকে ঢাকা ও নিজ উপজেলা কলারোয়া নিয়ে ব্যস্ত থাকছিলেন। আর সৈয়দ ইফতেখার এই সুযোগে জেলার অন্যদের সংগঠিত করে নিজের ছায়ায় রাখার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন।
এমন অবস্থায় ২০১৩ সালের ৬ সেপ্টেম্বর শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে দলের বর্ধিত সভা চলাকালে হাবিব ইফতেখারের দ্বন্দ্বের জেরে সংঘর্ষে নিহত হন জেলা মৎস্যজীবী দলের সাধারণ সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান। এ ঘটনার পর হাবিব এবং তাঁর প্রায় ১০০ অনুসারীকে ওই মামলার আসামি করা হয়। মাঝখান দিয়ে সৈয়দ ইফতেখার নিজেকে ও তাঁর সহোদর সৈয়দ এখলেসার আলী বাচ্চুকে রক্ষা করেন।
এদিকে আমান হত্যার একদিন পর কেন্দ্র জেলা বিএনপির হাবিব-ইফতেখার কমিটি ভেঙে দেয়। পরে ২০১৪ সালের ২৭ নভেম্বর কেন্দ্র সাবেক সাধারণ সম্পাদক ঢাকার বাসিন্দা রহমতুল্লাহ পলাশ এবং ইউপি চেয়ারম্যান ও সদর বিএনপির সভাপতি আবদুল আলীমকে সভাপতি ও সম্পাদক করে দুই সদস্যের কমিটি গঠন করে দেয়। কিন্তু এই কমিটিও জনগণের কাছে যেতে ব্যর্থ হয়। তাঁরা এত দিনেও কোনো কর্মসূচি দেওয়া থেকে বিরত থাকেন।
এদিকে দলের দুই নেতার এই পশ্চাদপদতার কারণে কেন্দ্র সম্প্রতি দলের সাংগঠনিক কার্যক্রম বেগবান করার নির্দেশ দেয়।
জানা গেছে, পলাশ ও আলীম গতকাল রোববার শ্যামনগরে সাংগঠনিক কাজ করতে গিয়ে হাবিবপন্থী নেতা-কর্মীদের এড়িয়ে চলেন। এমনকি তাঁদের দলীয় কাজে আসতেও বাধার সৃষ্টি করেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ খবর কেন্দ্রে পৌঁছানোর পর কেন্দ্রের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. শাহজাহান এক পত্রে তাঁদের এই কাজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দেন।
তবে সাধারণ সম্পাদক আবদুল আলীম জানান, মৌখিকভাবে তাঁকে জানানো হয়েছে সাংগঠনিক কার্যক্রম সাময়িক স্থগিত রাখতে।