পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে জেলে পাঠানোয় ময়লা ফেলে প্রতিবাদ
বরিশাল সিটি করপোরেশনের এক পরিচ্ছন্নতা কর্মীকে জেলে পাঠানোর ঘটনায় সহকারী কমিশনারের (ভূমি) কার্যালয় ঘেরাও করা হয়েছে। আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টা থেকে সিটি করপোরেশনের কয়েকশ পরিচ্ছন্নতাকর্মী ওই কার্যালয়ের সামনে ময়লা বহনকারী ভ্যান ও ট্রাক নিয়ে ঘেরাও করে। সেই সঙ্গে কার্যালয়ের প্রধান ফটকে ময়লা ফেলে ঝাড়ু নিয়ে বিক্ষোভ করতে থাকে। urgentPhoto
পরে ভারপ্রাপ্ত মেয়র কে এম শহীদুল্লাহ ও পুলিশ প্রশাসনের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে এসে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে ময়লা অপসারণ করান। কিন্তু জেলে পাঠানো কর্মীকে মুক্তি না দিলে বিক্ষোভ প্রত্যাহার করবে না বলে জানায় পরিচ্ছন্নতা কর্মীরা।
সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মী কাওসার জানান, প্রতিদিন ভূমি কার্যালয়ের দক্ষিণ পাশের রাস্তা সংলগ্ন এলাকায় ময়লা ফেলা ও পরিষ্কার করার কাজ করেন পরিচ্ছন্ন কর্মীরা। আজ মঙ্গলবার সকালে সাদ্দাম নামের এক কর্মী ওই স্থানে কাজ করতে থাকলে বরিশাল সদর ভূমি কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার ও নির্বাহী হাকিম মো. ইলিয়াসুর রহমান ঘটনাস্থলে এসে তাঁকে আটক করে ১৫ দিনের কারাদণ্ডাদেশ দেন।
পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা জানায়, তারা ভোররাত থেকে নগরীর ময়লা পরিষ্কারের কাজ করে। এই ধারাবাহিকতায় ভূমি কার্যালয়ের সামনের ময়লাও তারা পরিষ্কার করে। কিন্তু এ জন্য তাদের জেলে দেওয়ার ঘটনায় প্রতিবাদ জানিয়ে ভূমি কমিশনারের বদলি ও সাদ্দামের মুক্তি চেয়ে এই বিক্ষোভ করা হয়।
এদিকে ভূমি কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ভূমি কার্যালয় সংলগ্ন ওই স্থানে প্রতিনিয়ত সিটি করপোরেশনের ভ্যান গাড়িগুলো ময়লা ফেলে আসছে। তাদের মানা করা হলেও তা শুনছে না।
সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতা বিভাগের কর্মকর্তা দীপক লাল মৃধা জানান, পোর্ট রোডের বিভিন্ন স্থান থেকে ওই স্থানে ময়লা ফেলা হয়। অফিস শুরু হওয়ার আগেই সে ময়লা কর্মীরা ট্রাকে করে নিয়ে যায়। এই নিয়ে কর্মীকে জেলে দেওয়ার ঘটনা ঘটলে শ্রমিকরা ক্ষুব্ধ হয়ে বিক্ষোভ করে। এ বিষয়ে সিটি করপোরেশনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানালে এমনটা হতো না বলে জানান তিনি।
সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. ইলিয়াসুর রহমান জানান, বিষয়টি যেহেতু ঘটে গেছে তাই করপোরেশনের পক্ষ থেকে আপিল করা ছাড়া আর কোনো পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব নয়।
ভারপ্রাপ্ত মেয়র কে এম শহীদুল্লাহ জানান, সহকারী কমিশনারের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে। তিনি আপিল করতে বলেছেন। ওই কর্মীকে ছাড়িয়ে আনতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করা হবে। তবে ওই কর্মীকে ছাড়া না হলে পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুমকির বিষয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি।