ন্যাপ-জাসদ বঙ্গবন্ধু হত্যার ক্ষেত্র তৈরি করেছিল : হানিফ
বাম সংগঠন ন্যাপ ও জাসদ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারের হত্যার প্রেক্ষাপট তৈরি করেছিল বলে অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল-আলম হানিফ।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর গার্হস্থ্য অর্থনীতি কলেজে ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় হানিফ এ অভিযোগ করেন। এর একদিন আগেই দলটির সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম একই অভিযোগ করেছিলেন।
অনুষ্ঠানে জাসদকে নিয়ে শেখ সেলিমের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে জাসদের এক বিবৃতির সমালোচনা করেন হানিফ।
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘জাতির পিতা আমাদের স্বাধীনতার স্থপতি। এ কারণেই তিনি আমাদের জাতির পিতা হয়েছেন। এটা যেমন সত্য ঠিক তেমনি জাতির পিতাকে হত্যার প্রেক্ষাপট তৈরির সময় বাম সংগঠনগুলো ব্যাপক ভূমিকা রেখেছিল সেটাও সত্য। জাসদ, ন্যাপ অনেকেই। তারা সে সময় বঙ্গবন্ধু সরকারের বিরোধিতা করেছে। ফারুক, রশিদ, হুদা বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করলেও বঙ্গবন্ধুকে হত্যার ক্ষেত্র তৈরি হয়েছে এ সব রাজনৈতিক দলের মাধ্যমেই।
শফিউল্লাহ কেন নীরব ছিলেন : সেলিম
বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডে জাসদ ও কর্নেল তাহেরের ভূমিকার সমালোচনা করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম।
বাংলাদেশ কৃষি ব্যাংক কর্মচারী ইউনিয়ন আয়োজিত বঙ্গবন্ধুর ৪০তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শোক দিবসের আলোচনায় সেলিম এ সমালোচনা করেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পেছনে সে সময়ে সেনাবাহিনীর শীর্ষ পদে যাঁরা ছিলেন তাঁরা এতে সরাসরি জড়িত ছিলেন।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বলেন, ‘কেন শফিউল্লার এ নীরবতা। কেন জিয়ার এ নীরবতা? কেন খালেদ মোশররফের নীরবতা? এদের সবার যদি সম্মতি না থাকত তাহলে ওরা (খুনিরা) ক্যান্টনমেন্টে ঢুকল কীভাবে? এ কথা বললে বলে, এ পুরনো জিনিস ঘাটে কেন? কেন কর্নেল তাহের সেদিন ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ডালিম, শাহরিয়ারের সঙ্গে নতুন পরিকল্পনা করতেছিল। তবে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে কেউ ভালো থাকে নাই। ওই তাহের সাহেবেরও ক্ষমতার ভাগাভাগিতে জিয়া কিন্তু তারে... একসঙ্গে দুইজনে মিলে অপকর্ম করছিল, তারপর দুজনেই গেছে।’
শেখ ফজলুল করিম সেলিম আরো বলেন, তখনকার মতো এখনো ষড়যন্ত্র হচ্ছে।