ফেরি বন্ধ আট দিন, লোকসান আড়াই কোটি টাকা
মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া-কাওরাকান্দি নৌপথে অষ্টম দিনেও ফেরি চলাচল স্বাভাবিক হয়নি। পদ্মা নদীর নাব্যতা সংকট ও তীব্র স্রোতে ২০ আগস্ট বড় ফেরি চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় গত এক সপ্তাহে প্রায় আড়াই কোটি টাকার লোকসান হয়েছে।
নদী পারাপারে কে-টাইপ ফেরি ক্যামেলিয়া ও কুসুমকলিই এখন ভরসা। ঘাট এলাকায় পাঁচ শতাধিক ছোট-বড় যানবাহন পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে মালবাহী ট্রাকের সংখ্যা বেশি।
বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশনের (বিআইডব্লিউটিসি) শিমুলিয়াঘাটের ব্যবস্থাপক আবদুল আলীম জানান, আট দিন ধরে কার্যত ফেরি চলাচল বন্ধ। এই নৌপথে ১৮টি ফেরি চলাচল করে। সেখানে শুধু ক্যামেলিয়া ও কুসুমকলি—এ দুটি ফেরি চলাচল করছে। পানির গভীরতা পাঁচ ফুটের নিচে, সঙ্গে পদ্মার তীব্র স্রোত। পানি কাটতে পারে না।
আলীম বলেন, ‘আগে প্রতিদিন শিমুলিয়া-কাওরাকান্দি দুই পাড়ে ২৮ থেকে ৩০ লাখ টাকা আয় হতো; এখন দেড় থেকে দুই লাখ টাকায় নেমে এসেছে। বিআইডব্লিউটিসি ও বিআইডব্লিউটিএ পাঁচ শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী এখানে কাজের সঙ্গে জড়িত। আরো দেড় হাজার লোক ঘাটের বিভিন্ন পেশার সঙ্গে জড়িত। ফেরি চলাচল বন্ধ থাকায় প্রায় আড়াই কোটি টাকা আয় থেকে বঞ্চিত হচ্ছি। ড্রেজিং ছাড়া ফেরি চলাচল সম্ভব নয়।’
বিআইডব্লিউটিএর ড্রেজিং বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুস সালাম খান বলেন, ‘ড্রেজিংয়ে আমাদের কোনো ত্রুটি ছিল না। স্রোতই মূল সমস্যা। স্রোতের কারণে ঠিকমতো ড্রেজিং করতে পারছি না যেমন, তেমনি ফেরিও চলাচল করতে পারছে না। চায়না কোম্পানি তাদের যন্ত্রপাতি নিয়ে এসেছে। আশা করি, বিকেলের দিকে ড্রেজিং শুরু করতে পারবে।’