বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেল গোদাগাড়ীর লিমা

Looks like you've blocked notifications!

পুলিশের তৎপরতায় রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রী বাল্যবিবাহের কবল থেকে রক্ষা পেয়েছে। আগামীকাল সোমবার ওই ছাত্রীর বিয়ের কথা ছিল। খবর পেয়ে আজ রোববার গায়ে হলুদ অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে পুলিশ বিয়ে বন্ধ করে দিয়েছে।

পরে হবু বর ও কনেসহ তাদের বাবা ও মাকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে নিয়ে যায় পুলিশ। বাল্যবিবাহ না দেওয়ার মুচলেকা দিয়ে তাঁরা ছাড়া পান।

গোদাগাড়ী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আবু ফরহাদ জানান, সোমবার উপজেলার ললিগ্রাম কাপাশিয়াপাড়ার দিনমজুর আতাবুর রহমানের পঞ্চম শ্রেণী পড়ুয়া মেয়ে লিমা খাতুনের (১২) বিয়ের দিন ঠিক করা ছিল। বিয়ে ঠিক হয় একই উপজেলার চাতরাপুকুর সুলতানগঞ্জ এলাকার নবীজুল ইসলামের ছেলে সেলিম রেজার (২৫) সঙ্গে।

বিয়ের জন্য রোববার বিকেলে ছাত্রীর বাড়িতে চলছিল গায়ে হলুদের অনুষ্ঠান। খবর পেয়ে ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এস এম আবু ফরহাদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল ওই বাড়িতে যায়। এ সময় কনে ও তার মা-বাবাকে পুলিশ গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে ধরে নিয়ে যায়। পুলিশের অপর একটি দল বরের বাড়িতে গিয়ে বর ও তার মা-বাবাকেও ধরে একই জায়গায় নিয়ে যায়। সেখানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা খালিদ হোসেন তাঁদের বাল্যবিবাহের কুফল সম্পর্কে বোঝান। তাঁরা আর এ বিয়ে দেবেন না, এমন প্রতিশ্রুতি দিয়ে লিখিত মুচলেকা দিলে পরে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

গোদাগাড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম আবু ফরহাদ বলেন, বাল্যবিবাহ আয়োজনের খবর পেয়েই ওই বিয়ে বন্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হয়। উপযুক্ত বয়স না হওয়া পর্যন্ত লিমার বিয়ে দেবেন না বলে লিখিত অঙ্গীকার করেছেন তার বাবা আতাবুর রহমান।