মমতার সফরে ‘মুক্তি’ দেখছেন ছিটমহলবাসী
পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলাদেশ সফরে পঞ্চগড়ে আনন্দ মিছিল করেছে ছিটমহলবাসী। তাঁরা আশা করছেন, এ সফরে স্থলসীমান্ত চুক্তি কার্যকরের মধ্য দিয়ে দুই দেশের ছিটমহল বিনিময়ের ঘোষণা আসবে। তাতে ছিটমহলবাসীর দীর্ঘ ‘বন্দিজীবনের’ অবসান ঘটবে; মিলবে ‘মুক্তি’।
আজ শুক্রবার সকালে বাংলাদেশ-ভারত ছিটমহল বিনিময় সমন্বয় কমিটি পঞ্চগড় শাখা বোদা উপজেলার পুঠিমারী ছিটমহলে আনন্দ মিছিল করে। শেষে এক সমাবেশে বক্তারা এ প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
মিছিলটি পঞ্চগড়-ঠাকুরগাঁও মহাসড়ক হয়ে ছিটমহলের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সমন্বয় কমিটির অফিসে গিয়ে শেষ হয়। মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা নেচে-গেয়ে আনন্দ করে। পরে সমন্বয় কমিটির অফিস চত্বরে অনুষ্ঠিত সমাবেশে সমন্বয় কমিটির সভাপতি মো. মফিদার রহমান, সম্পাদক মো. সিরাজুল ইসলাম, পুঠিমারী ছিটমহলের চেয়ারম্যান মো. তছলিমউদ্দিন প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
মো. মফিদার রহমান বলেন, ‘৬৫ বছরের আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আমরা ছিটমহলবাসী বন্দিজীবন থেকে শান্তি পাব, মুক্তি পাব তার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলাদেশ সফরকে ভারত-বাংলাদেশের ১১১টি ছিটমহলের বাসিন্দাদের পক্ষ থেকে স্বাগত জানাচ্ছি। তিনি বাংলাদেশে ছিটমহলবাসীর সব সমস্যা সমাধানের জন্যই আসছেন। তিনি বাংলাদেশ থেকে ফিরে গেলে এই ছিটমহল বিনিময় হবে, আমরা শান্তিতে বসবাস করতে পারব। আমাদের বাচ্চাকাচ্চা লেখাপড়া করতে পারবে, আমরা চাকরি করতে পারব। আমাদের উন্নয়ন হবে। ভারত-বাংলাদেশের ছিটমহলবাসীরা এই প্রত্যাশা করছি যে, আমাদের বন্দিজীবনের মুক্তি ঘটবে। আমরা নাগরিকত্ব ফিরে পাব।’
মো. সিরাজুল ইসলাম বলেন, ‘দিদি (মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়) বাংলাদেশে এসেছেন। আমরা তাঁকে সাধুবাদ জানাই, ধন্যবাদ জানাই। আমরা আশা করি, তিনি ভারতে ফিরে গিয়ে আমাদের ছিটমহলবাসীর ৬৫ বছরের যে সমস্যাগুলো আছে, তা সমাধান করবেন।’
পুঠিমারী ছিটমহলের জয়ারানী বলেন, ‘মমতা দিদি বাংলাদেশে এসেছেন, সবাই আমরা খুশি। ভারতে গিয়ে তিনি ছিটবাসীর সমস্যার সমাধান করবেন বলে আমরা আনন্দিত।’