ভিজিএফের চাল বিতরণে উত্তেজনা, হুইপ ছেলুনের হস্তক্ষেপ

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মোমিনপুর ইউনিয়নে ভিজিএফের চাল বিতরণকে কেন্দ্র করে আজ বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
মোমিনপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান জেলা কৃষক লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দার ও সদর উপজেলা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি হুইপের প্রতিনিধি শেফালী খাতুনের অনুসারীদের কার্ড পাওয়া ঘটনাকে কেন্দ্র করে এ উত্তেজনার সৃষ্টি হয়।
খবর পেয়ে হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুন এমপি ও সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ওয়াশীমুল বারী ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয় চত্বরে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। বরাদ্দকৃত চাল কার্ডধারী ও কার্ডের বাইরে থাকা দুস্থদের মধ্যে বিতরণের ব্যবস্থা করেন।
ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক জোয়ার্দ্দার দাবি করেছেন, চাল বিতরণের সময় তিনি, ১ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আনিসুর রহমান, ২ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য মিজানুর রহমান, ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবদুল খালেক, স্থানীয় পত্রিকার সাংবাদিক আবুল কালাম ও তহিরুদ্দিন নামের এক গ্রামবাসী আহত হয়েছেন। তিনি বলেন, প্রতিপক্ষের চাপে ১০ কেজির পরিবর্তে পাঁচ কেজি করে চালে দেওয়া হচ্ছে।
এদিকে ভিজিএফের চাল বিতরণ কালে হুইপের উপস্থিতি নিয়ে চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক ও তাঁর অনুসারীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। চেয়ারম্যান ও তাঁর কয়েকজন অনুসারী দাবি করেন, হুইপ চেয়ারম্যানকে শারীরিকভাবে লাঞ্চিত করেছেন।
ওই ঘটনার প্রতিবাদে চেয়ারম্যানের বাড়ির পাশে প্রতিবাদ সভাও করা হয়েছে। সদর উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি আবদুল মতিন দুদুর সভাপতিত্বে কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় দপ্তর সম্পাদক অধ্যাপক নজরুল ইসলাম পানু, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান কবীর, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জানিফ ও ছাত্রলীগ নেতা মাফিজুর রহমান মাফি বক্তব্য দেন।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে হুইপ সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার বলেন, ভিজিএফ কার্ড তৈরিতে নীতিমালা না মানা ও অনিয়ম করায় বৃহস্পতিবার সকালে মোমিনপুর ইউপি ভবন চত্বরে সুবিধাবঞ্চিতরা উপস্থিত হয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে। খবর পেয়ে আমি ও ইউএনও ঘটনাস্থলে যাই। চেয়ারম্যান ও বিক্ষুব্ধ কয়েকজনকে নিয়ে বসে তাৎক্ষণিক সমাধান করি। কাউকে শারীরিক আঘাত বা লাঞ্ছিত করা হয়নি।
সদর থানার দ্বিতীয় কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) মকবুল হোসেন বলেন, বর্তমান চেয়ারম্যান ফারুক হোসেন ও পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী শেফালী খাতুনের অনুসারীদের মধ্যে সকাল থেকে উত্তেজনা বিরাজ করছিল। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যাই এবং পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি।