দীঘিনালায় যৌথ বাহিনীর সঙ্গে গোলাগুলি, সন্ত্রাসী আটক

Looks like you've blocked notifications!
খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার কামুক্ষাছড়া এলাকার দুর্গম ছাতকছড়া এলাকায় যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে পাঁচটি আগ্নেয়াস্ত্র ও সাড়ে ৪০০টি গুলিসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে। ছবি : এনটিভি

খাগড়াছড়ির দীঘিনালা উপজেলার কামুক্ষাছড়া এলাকার দুর্গম ছাতকছড়া এলাকায় যৌথ বাহিনীর অভিযানে পাঁচটি আগ্নেয়াস্ত্র ও সাড়ে ৪০০টি গুলি উদ্ধার করা হয়েছে। এ সময় একজনকে আটক করা হয়। আটক ব্যক্তির নাম বড়শোভা চাকমা ওরফে নান্টু (৪০)। ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন সেনাবাহিনীর খাগড়াছড়ি রিজিয়নের অধিনায়ক স ম মাহবুবুল আলম। আটক ব্যক্তি জেএসএসের (এমএন লারমা) কর্মী বলে জানান তিনি। তবে সংগঠনটির পক্ষ থেকে তা অস্বীকার করা হয়েছে।

urgentPhoto

যৌথ বাহিনীর সূত্র জানায়, ছাতকছড়ার দুর্গম এলাকার একটি বাড়িতে প্রায় ২৫ জনের সশস্ত্র সন্ত্রাসী দল অবস্থান করার গোপন সংবাদ ছিল যৌথ বাহিনীর কাছে। এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে রোববার সন্ধ্যার পর দীঘিনালা সেনা অঞ্চলের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাহসিন রেজার নেতৃত্বে ওই এলাকায় অভিযান শুরু হয়। ভোরে যৌথ বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি চালায়। প্রায় এক ঘণ্টা উভয় পক্ষের মধ্যে গোলাগুলি হয়।  এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পিছু হটতে বাধ্য হয়। পরে একজনকে আটক করা সম্ভব হলেও বাকিরা পালিয়ে যায়।

এরপর ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে পাঁচটি অস্ত্র, নয়টি ম্যাগাজিন, সাড়ে ৪০০ গুলি, সন্ত্রাসীদের ব্যবহৃত ইউনিফর্ম, আটটি মোবাইল ফোন, একটি ডিভিডি প্লেয়ার ও সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা পাঁচটি অস্ত্র হলো, মেশিনগান (এমজি) একটি, সাব-মেশিনগান (এসএমজি) দুটি ও এসএলআর দুটি।

আটক ব্যক্তির বরাত দিয়ে যৌথ বাহিনীর একটি সূত্র জানিয়েছে, পাহাড়ের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জের ধরে সশস্ত্র দল অবস্থান নিয়েছিল। জেএসএস (সন্তু) পক্ষকে মোকাবিলা করতেই জেএসএস (এমএন লারমা) পক্ষের সশস্ত্র দলটি অবস্থান করছিল। এ ছাড়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও চাঁদাবাজির জন্য এ অস্ত্রের মজুদ করা হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে জেএসএস (এমএন লারমা) কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-তথ্য ও প্রচার সম্পাদক প্রশান্ত চাকমা বলেন, ‘আমাদের সংগঠনে কোনো সশস্ত্র সদস্য বা কর্মী নেই। আটক ব্যক্তি আমাদের সংগঠনের কেউ নয়।’

সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তাদের সঙ্গে অভিযানে আনসার ও পুলিশ বাহিনী ছিল।