২০২০ থেকে ২০২১ সাল ‘মুজিব বর্ষ’
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী পালনের আগেই দেশকে দারিদ্র্যমুক্ত করার ক্ষেত্রে বহুদূর এগিয়ে যাওয়ার দৃঢ় প্রত্যয়ের কথা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘২০২০ সাল থেকে ২০২১ সাল এই এক বছর, এ বর্ষটাকে আমরা ‘মুজিব বর্ষ’ হিসেবে পালন করব। সেভাবে আমরা কর্মসূচি নেব। আমরা নিপীড়িত মানুষের পাশে আছি, শোষিত মানুষের পাশে আছি।’
আজ শুক্রবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলের উপদেষ্টা পরিষদ ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের যৌথ সভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
গত ২৩ জুন আওয়ামী লীগের নতুন ভবন উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার সেখানে আনুষ্ঠানিক কার্যক্রমও শুরু হলো তাঁর উপস্থিতিতে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ উপদেষ্টা পরিষদ ও কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের যৌথ সভায় যোগ দিতে বিকেলে সেখানে যান শেখ হাসিনা। আগামীতে স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শোক দিবস সহ নানা জাতীয় দিবসে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে কী কর্মসূচি নেওয়া হবে তা ঠিক করা হয় ওই বৈঠকে। সেখানে রাখা বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী তুলে ধরেন দেশের মানুষের উন্নয়নে নেওয়া নানা কর্মকাণ্ডের কথা।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘অনেকেই মনে করেন, অনেকে বলেছেন উন্নয়নশীল দেশ হওয়া নাকি ভালো না, এতে নাকি দেশের মানুষের সর্বনাশ হয়। কীভাবে সর্বনাশ হয় তা আমি জানি না। কিন্তু উন্নয়নশীল দেশ আমরা হব না, আমরা চিরদিন ভিক্ষার ঝুলি নিয়ে মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরে বেড়াব এটাতো কখনো স্বাধীনতার স্বপ্ন ছিল না, চিন্তাও ছিল না, আদর্শ ছিল না, নীতিও ছিল না। বরং জাতির পিতা সবসময় এ কথাই বলতেন ভিক্ষুকের কোনো সম্মান থাকে না, যে জাতি ভিক্ষা করে চলে তার সম্মান থাকে না। আমরা সেটাই চেয়েছি সব সময়, যে কারো কাছে হাত পেতে নয়, কারো করুণা ভিক্ষা করে নয়, আমরা দেশকে গড়ে তুলবো নিজেদের সম্পদ, নিজেদের মানুষদের দিয়ে যেন বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে চলতে পারি।’
চীন ভ্রমনের অভিজ্ঞতা নিয়ে বঙ্গবন্ধুর নিজের কিছু লেখা ও ১৯৪৭ সালের পর থেকে বঙ্গবন্ধুর বিরুদ্ধে হওয়া গোয়েন্দা প্রতিবেদন বই আকারে প্রকাশের কাজ এগিয়ে চলছে বলেও জানান প্রধানমন্ত্রী।