জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে পোশাকশিল্পে নাশকতার পরিকল্পনার অভিযোগ!

গ্রেপ্তার হওয়া জামায়াতে ইসলামীর ১৩ নেতা-কর্মী তৈরি পোশাক কর্মীদের অসন্তোষকে কাজে লাগিয়ে নাশকতা সৃষ্টির পরিকল্পনা করছিলেন বলে ধারণা করছে গোয়েন্দা পুলিশ।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের যুগ্ম কমিশনার মুনিরুল ইসলাম আজ মঙ্গলবার এ কথা জানিয়েছেন।
জামায়াতের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবর রহমান ও মিয়া গোলাম পরওয়ারসহ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে আজ মঙ্গলবার সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মুনিরুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘গতকাল জামায়াতের দুজন প্রাক্তন সংসদ সদস্যসহ বিভিন্ন পর্যায়ের ১৩ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন পোশাক শ্রমিক নেতাও ছিলেন। তিনি জামায়াত সাপোর্টেড। আমরা মনে করছি তারা গার্মেন্টে কোনো ধরনের নাশকতা, অর্থাৎ ঈদের আগে কোনো ধরনের নাশকতামূলক কোনো কর্মসূচি গ্রহণ করা যায় কি না সে বিষয়ে পরিকল্পনা করছিল।’
গ্রেপ্তার হওয়া জামায়াতের নেতা-কর্মীরা হলেন, খুলনা-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মিয়া গোলাম পরোয়ার, রাজশাহী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, কাফরুল থানা জামায়াতের সভাপতি তসলিম আলম, আবুল কালাম আজাদ, মো. মুনসুর রহমান, মো. জাকির হোসেন, মো. জাহাঙ্গীর আলম, এ বি এম নুরুউল্লাহ (মোহাম্মদ উল্লাহ), মো. আবুল হাশেম, মো. সাব্বির, মজিবুর রহমান, হারুনুর রশিদ ও মো. আশরাফুল আলম ইকবাল।
আজ মঙ্গলবার ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পরিদর্শক মো. মাহফুজুর রহমান তাঁদের হাজির করে ১০ দিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করেন। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম লুৎফর রহমান শিশির তাঁদের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলার এজাহারে পুলিশের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, ঈদুল আজহার সময় গার্মেন্ট শ্রমিকদের বেতন-ভাতা নিয়ে অসন্তোষ সৃষ্টি এবং তা কাজে লাগিয়ে নাশকতার পরিকল্পনার জন্য সোমবার বৈঠকে বসেছিলেন জামায়াত নেতারা। সরকারকে বেকায়দায় ফেলাই ছিল তাঁদের পরিকল্পনা।
রাজধানীর মিরপুরে অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর সাবেক দুই সংসদ সদস্যসহ ১৩ নেতা-কর্মীকে আটক করে পল্লবী থানা ও গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
সোমবার মিরপুর ১১-এর ‘সি’ ব্লকের ১০ নম্বর রোডের ৪ নম্বর বাসা থেকে তাঁদের আটক করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে বেশ কয়েকটি লাঠি এবং ২০টি তাজা বোমা উদ্ধার করা হয়।