সীমান্তে দুই বাংলাকে মিলাল ভাষা
ভাষার টানে দিনাজপুরের হিলিতে বাংলাদেশ ও ভারত সীমান্তের শূন্যরেখায় (জিরো পয়েন্টে) মিলল দুই বাংলার মানুষ। আজ শনিবার অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে সীমান্তের ২৮৫ নম্বর মেইন পিলারের কাছে স্থাপন করা হয় অস্থায়ী শহীদ মিনার। সেখানেই ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান দুই বাংলার মানুষ। অনুষ্ঠানটি একপর্যায়ে পরিণত হয় দুই বাংলার মানুষের মিলনমেলায়।
দুই বাংলার বাংলাভাষী মানুষের মধ্যে সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতির লক্ষ্যে স্থানীয় সাপ্তাহিক আলোকিত সীমান্ত ও আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কমান্ডের উদ্যোগে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বেলা ১১টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের (অর্ধনমিত) মাধ্যমে আয়োজন শুরু হয়। এরপর বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে ভাষাশহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়।
মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার লিয়াকত আলীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন সাপ্তাহিক আলোকিত সীমান্তের সম্পাদক ও আমরা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কমান্ডের সভাপতি জাহিদুল ইসলাম, হাকিমপুর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আকরাম হোসেন মণ্ডল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আজাহারুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রহমান লিটন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জামিল হোসেন চলন্ত,সাংগঠনিক সম্পাদক প্রতাপ মল্লিক, উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শাহীনুর রেজা শাহীন, হিলি স্থলবন্দর ট্রাক মালিক গ্রুপের আহ্বায়ক হারুন উর রশিদ।
সাপ্তাহিক আলোকিত সীমান্তের সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম বলেন, দুই বাংলার মানুষের ভাষা এক। সীমান্তের কাঁটাতারের বেড়া দিয়ে হয়তো মানুষকে আটকানো যায়। কিন্তু দুই দেশের বাঙালির ভাষা ও হৃদয়কে আটকানো যাবে না।
সভা শেষে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন দুই বাংলার শিল্পীরা।