‘যথাযথ মান বজায় রেখে উত্তরপত্র দেখা হয়েছে’
শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ বলেছেন, ‘যথাযথ মান বজায় রেখে পরীক্ষার উত্তরপত্র দেখা হয়েছে। এ ছাড়া এবার পরীক্ষার পরিবেশ ছিল সম্পূর্ণ নকলমুক্ত ও পরিচ্ছন্ন। এ কারণেই পাসের হার কিছুটা কম হয়েছে। তবে পাসের হার কম হলেও শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি পেয়েছে।’
আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন শিক্ষামন্ত্রী।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘ছাত্র-ছাত্রীরা এখন অনেক বেশি পড়ালেখা করছে। তাদের পড়া লেখার ব্যাপারে আগ্রহ তৈরি হয়েছে। বিজ্ঞানের ব্যাপারে ছাত্রছাত্রীরা এখন বেশ মনোযোগী।’
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘২০১৭ সালের তুলনায় ২০১৮ সালে বিজ্ঞান বিভাগে ২৪ হাজার ৫৫১ জন পরীক্ষার্থী বেশি ছিল। ১০ হাজার ৮৫৮ জন বেশি পাস করেছে। এতেই প্রমাণ করে শিক্ষার্থীরা এখন বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে বেশি আগ্রহী হচ্ছে।’
এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘আগের পাসের হার অনেক বেশি ছিল। তখন আপনারাই (সাংবাদিকরা ও অভিভাবকরা) বলতেন আমরা (সরকার) পরীক্ষার খাতায় নম্বর বাড়িয়ে দিতে বলেছি। এ কারণেই পাসের হার বেশি! এখন আবার পাসের হার কম। আপনারাই প্রশ্ন করছেন পাসের হার কম কেন? আমরা এখন করবটা কী? পাসের হার কম হলেও আমাদের দোষ। বাড়লেও আমাদেরই দোষ। আমরা আসলে কখনোই কাউকে পরীক্ষার খাতায় নম্বর বাড়িয়ে কিংবা কমিয়ে দিতে বলিনি। আমরা বরাবরই শিক্ষার গুণগত মান বৃদ্ধি নিয়ে কাজ করছি।’
এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশ উপলক্ষে শিক্ষা মন্ত্রণালয় এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে। এর আগে সকাল ১০টায় শিক্ষামন্ত্রী গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতে পরীক্ষার ফলাফল তুলে দেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এ বছর মোট পাস করেছে আট লাখ ৫৮ হাজার ১০১ জন। এর মধ্যে জিপিএ ৫ পেয়েছে ২৯ হাজার ২৬২ জন। গত বছর পাসের হার ছিল ৬৮ দশমিক ৯১ ভাগ। সেবার পাস করেছিল আট লাখ এক হাজার ৭১১ জন। এ বছর পাসের হার কমেছে ২ দশমিক ২৭ ভাগ। অর্থাৎ গতবারের চেয়ে এবার ৫৭ হাজার ৯০ জন কম পাস করেছে।’
মন্ত্রী আরো বলেন, ‘গত বছর জিপিএ ৫ পেয়েছিল ৩৭ হাজার ৯৬৯ জন। এ বছর জিপিএ ৫ পেয়েছে ২৯ হাজার ২৬২ জন। কমেছে আট হাজার ৭০৭ জন।’
নুরুল ইসলাম নাহিদ জানান, গত বছর শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৫৩২টি। এবার সেই সংখ্যা ৪০০-তে নেমে এসেছে। অর্থাৎ শতভাগ পাস করা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সংখ্যা কমেছে ১৩২টি।
অন্যদিকে এ বছর ৫৫টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কেউ পাস করতে পারেনি। গত বছর এই সংখ্যাটি ছিল ৭২টি।