ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে চারটি অস্ত্রোপচার কক্ষের উদ্বোধন

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নতুন চারটি অস্ত্রোপচার কক্ষের (ওটি) উদ্বোধন করা হয়েছে। আজ বুধবার বেলা পৌনে ২টায় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম এর উদ্বোধন করেন। এতে ঢাকা মেডিকেলের জরুরি বিভাগে অস্ত্রোপচার কক্ষের সংখ্যা দাঁড়াল ছয়টিতে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, ‘এই চারটি ওটি স্থাপনের মাধ্যমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের চিকিৎসাসেবার ক্ষেত্রে মাইলফলক স্থাপন করেছে। ওটিতে অভিজ্ঞ চিকিৎসক ও সেবিকা থাকবে। জরুরি বিভাগে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংকটাপন্ন রোগীরা আসে। তাদের জন্য ওটিগুলো কাজে আসবে। আমরা আগেও নানা অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি উদ্বোধন করেছি। কিন্তু এগুলো পর্যাপ্ত নয়, আরো বাড়াতে হবে।’
নতুন চারটি ওটির সঙ্গেই রয়েছে অস্ত্রোপচার পরবর্তী (পোস্ট অপারেটিভ) কক্ষ ও হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিট (এইচডিইউ)।
আগে জরুরি বিভাগের ওটিতে অস্ত্রোপচারের পরে রোগীকে হাসপাতালের তৃতীয় তলায় অবস্থিত পোস্ট অপারেটিভ অথবা এইচডিইউতে নেওয়া হতো। কিন্তু নতুন চারটি ওটির পাশেই এ সাব ইউনিটগুলো থাকায়, এখন রোগীদের অস্ত্রোপচারের পর তাদের প্রয়োজন অনুয়াযী দ্রুত এইচডিইউতে নেওয়া হবে।
এগুলো ছাড়াও আজ ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগে উন্নত প্রযুক্তির চালুকরণ ও নবনির্মিত আনসার ব্যারাক কার্যক্রম উদ্বোধন করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব জি এম সালেহ উদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. খান আবুল কালাম আজাদ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন।
এ সময় জানানো হয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি শল্য চিকিৎসা দ্রুততার সঙ্গে নিশ্চিত করতে এই নতুন চারটি জরুরি অপারেশন থিয়েটার কার্যক্রমের মাধ্যমে যথাক্রমে অর্থোপেডিক্স, জেনারেল সার্জারি, থোরাসিক সার্জারি, ইউরোলজি, নিউরোসার্জারি, ইএনটি, চক্ষু, ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জারি, শিশু সার্জারি বিভাগের রোগীদের ২৪ ঘণ্টাই সেবা দেওয়া সম্ভব হবে।
এ ছাড়া হাসপাতালের পরিবেশ সুষ্ঠু সুন্দর রাখতে আনসার সদস্যের সংখ্যা ২৪০-এ উন্নীত করা হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, হাসপাতালের পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে সবাইকে তৎপর থাকতে হবে। ভর্তি হওয়া রোগীপ্রতি একজনের বেশি স্বজন যেন না থাকে সেদিকে কঠোর অবস্থানে থাকতে মন্ত্রী হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন। স্বজনদের ভিড় কমে গেলে হাসপাতালের পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখার সহজতর হবে বলে এ সময় মন্তব্য করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।