প্রধানমন্ত্রীর সংবেদনশীলতার কারণেই আ. লীগ আবারও জয়ী হবে

স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবেদনশীলতার সঙ্গে জনগণের স্বাস্থ্যমান উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁর এ সংবেদনশীলতার কারণেই আগামী নির্বাচনে আবার জনগণ আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে।
আজ বুধবার ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নতুন চারটি অস্ত্রোপচার কক্ষ, সার্জিক্যাল হাই ডিপেনডেন্সি ইউনিট (এইচডিইউ) এবং ট্রান্সফিউশন মেডিসিন বিভাগের উন্নত যন্ত্রপাতি চালুকরণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সেবার মান আরো বাড়াতে হবে বলে মন্তব্য করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, শুধু আধুনিক অবকাঠামো হলেই হবে না, সেবার মান বাড়াতে হবে।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, সেবার ক্ষেত্রে কোনো দলাদলি রাজনীতি নয়। সেবার মানই গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্য সেক্টরে নতুন নতুন অবকাঠামো নির্মাণ ও সম্প্রসারণ করা হচ্ছে। মাতৃ শিশু মৃত্যু হার কমেছে। কিন্তু তারপরও রোগীর চাপ অব্যাহত আছে। এই চাপ সামাল দিতে সরকার সারা দেশে নতুন হাসপাতাল নির্মাণ করছে।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালকেও পাঁচ হাজার শয্যাবিশিষ্ট করে নতুন আঙ্গিকে গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছে সরকার।
এ ব্যাপারে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সব সময়ই চিকিৎসাসেবা খাতকে অগ্রাধিকার দিয়েছেন। এরই মধ্যে ঢাকা মেডিকেলকে সম্প্রসারণ করা হয়েছে। ইনশা আল্লাহ্ আগামী নির্বাচনের পর ঢাকা মেডিকেলকে পাঁচ হাজার শয্যায় সম্প্রসারণ করার কাজ শুরু হবে। এরই মধ্যে সম্প্রসারিত ভবনের নকশা অনুমোদিত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী যেহেতু অনুমোদন দিয়েছেন, তাহলে আশা করছি নির্বাচনের পরপরই কাজ শুরু হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, হাসপাতালের সব ধরনের জরুরি অপারেশন বিনামূল্যে সম্পন্ন করাসহ অন্যসব অপারেশন নামমাত্র মূল্যে সম্পন্ন করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। হাসপাতালের প্যাথলজিক্যাল পরীক্ষা এক শিফটরে পরিবর্তে দুই শিফটে এবং জরুরি পরীক্ষাগুলো সার্বক্ষণিক সম্পন্ন করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। ফলে রোগীদের দুর্ভোগ কমেছে।
ঢাকা মেডিকেলে দায়িত্বরত আনসার সদস্যদের উদ্দেশে মোহাম্মদ নাসিম বলেন, আপনাদের কাছে আমার একটাই অনুরোধ, ব্যারাক পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখবেন। আমি এসেছি বলে আজ পরিষ্কার করবেন এমন না। নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে। এ ছাড়া রোগীদের স্বজন নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কোনো রোগীর সঙ্গে একজনের বেশি স্বজন থাকতে পারবে না।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব জি এম সালেহ উদ্দিন, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, ঢাকা মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা. খান আবুল কালাম আজাদ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা মেডিকেল কলেজের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন।
অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি শল্য চিকিৎসা দ্রুততার সঙ্গে নিশ্চিত করতে এই নতুন চারটি জরুরি অপারেশন থিয়েটার কার্যক্রমের মাধ্যমে যথাক্রমে অর্থোপেডিক্স, জেনারেল সার্জারি, থোরাসিক সার্জারি, ইউরোলজি, নিউরোসার্জারি, ইএনটি, চক্ষু, ম্যাক্সিলোফেসিয়াল সার্জারি, শিশু সার্জারি বিভাগের রোগীদের ২৪ ঘণ্টাই সেবা দেওয়া সম্ভব হবে।