ভোট প্রশ্নবিদ্ধ করতেই সাতসকালে বিএনপির অভিযোগ : কামরান
ভোটকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই বিএনপির প্রার্থী সকালে ভোট শুরু হওয়ার পর পরই অভিযোগ করা শুরু করেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের মেয়র পদপ্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান।
আজ সোমবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে নগরীর সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়ে ভোট প্রদান করেন নৌকা মার্কার এই প্রার্থী। পরে তিনি গণমাধ্যমের কাছে ভোটের পরিবেশ নিয়ে কথা বলেন।
এর আগে সকাল ৮টার পর পরই নগরীর রায়নগর কেন্দ্রে ভোট দেন প্রতিদ্বন্দ্বী বিএনপির মেয়র পদপ্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী। এ সময় তিনি গতকাল রাতেই নগরীর বেশ কয়েকটি সেন্টারে ব্যালট পেপারে সিল মেরে বাক্স ভর্তি করে রাখা হয় বলে অভিযোগ করেন।
ধানের শীষের প্রার্থী এ সময় বলেন, ‘গতকাল রাতে বিদ্যুৎ অফ করে পুলিশ, বিডিআরের নিয়ন্ত্রণাধীন রেখে, আমার কাছে পরস্পর খবর এসেছে, কাজী জালালউদ্দিন-কাজীটুলাতে, ২০ নম্বরে এমসি কলেজ এবং অন্যান্য ওয়ার্ডে রাতেই সিল মেরে প্রিসাইডিং অফিসার সাহেবদের নিয়ে এসে ব্যালটে সিল মেরে রাখা হয়েছে।’
আওয়ামী লীগ প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের কাছে এ ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ভোট শুরু হয়েছে সকাল ৮টায়, এখনো পুরোপুরি ৯টা বাজে নাই। এর মধ্যে উনার এজেন্টকেও বের করে দিছে, আবার ব্যালটে সিলও মেরে দিছে। তো এসব হচ্ছে অহেতুক বিভ্রান্তমূলক কথাবার্তা।’
‘নৌকার যে জোয়ার, নৌকার প্রতি মানুষের যে সমর্থন, তাতে তিনি (আরিফুল) কেবর হতবিহ্বল নয়, বিস্মিত হয়েছেন। সুতরাং একটি সুষ্ঠু, অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার জন্যই এটা তাঁর অপচেষ্টা,’ যোগ করেন সাবেক এই মেয়র।
এ সময় কামরান নিজের জয়ের ব্যাপারে আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘নৌকার পক্ষে যে গণজোয়ার শুরু হয়েছে, ভোটকেন্দ্রে স্বতঃস্ফূর্তভাবে যেভাবে মানুষ ভোট প্রদান করছেন, ইনশাআল্লাহ জয়ের ব্যাপারে আমরা শতভাগ আশাবাদী।’
নৌকা মার্কার প্রার্থী আরো বলেন, ‘আনন্দঘন পরিবেশের মধ্য দিয়ে সিলেটের ভোটাররা ভোট দিচ্ছেন। শান্ত পরিবেশ সিলেটে বিরাজমান। প্রচুর ভোটার এসেছেন। নারী ভোটারের সংখ্যা তুলনামূলকভাবে বেশি।’
সিলেট সিটি করপোরেশন নির্বাচনে মেয়র পদে সাতজন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বদর উদ্দিন আহমদ কামরান (নৌকা), বিএনপির আরিফুল হক চৌধুরী (ধানের শীষ), ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের ডা. মো. মোয়াজ্জেম হোসেন খান (হাতপাখা), বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) মো. আবু জাফর (মই) এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী এহসান মাহবুব জোবায়ের (টেবিল ঘড়ি), মো. এহসানুল হক তাহের (হরিণ) ও মো. বদরুজ্জামান সেলিম (বাস)। তিন সিটিতে ৫৩০ জন কাউন্সিলর প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।
সিলেট সিটি করপোরেশনে তিন লাখ ২১ হাজার ৭৩২ জন ভোটার রয়েছেন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার লাখ ৭১ হাজার ৪৪৪ ও নারী ভোটার এক লাখ ৫০ হাজার ২৮৮ জন।