মানহানির মামলা

নড়াইলে খালেদা জিয়ার জামিনের আদেশ রোববার

Looks like you've blocked notifications!
পুরোনো ছবি

স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদের সংখ্যা ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে বিতর্কিত বক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নড়াইলে দায়ের করা মানহানি মামলার জামিনের ব্যাপারে আদেশ দেওয়ার জন্য আগামী রোববার দিন রেখেছেন আদালত।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় জেলা ও দায়রা জজ আবদুল আহাদ শেখ শুনানি শেষে আদেশের জন্য এ দিন দেন।

গত ২৯ জুলাই নড়াইল জেলা ও দায়রা জজ আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে জামিন আবেদন করেন তাঁর আইনজীবী। আদালত আজ শুনানির দিন ধার্য করেন।

শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন নড়াইল জজ আদালতের পিপি এমদাদুল ইসলাম এবং খালেদা জিয়ার পক্ষে ছিলেন মাসুদ আহমেদ তালুকদার, ইকবাল হোসেন সিকদারসহ স্থানীয় বিএনপির আইনজীবীরা।

মামলার বিবরণে বলা হয়, ২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকায় মুক্তিযোদ্ধাদের সমাবেশে খালেদা জিয়া তাঁর বক্তব্যে স্বাধীনতা যুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক আছে বলে মন্তব্য করেন। এ ছাড়া একই সমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম উল্লেখ না করে তাঁকে (বঙ্গবন্ধু) ইঙ্গিত করে খালেদা জিয়া বলেন, তিনি স্বাধীনতা চাননি। পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে চেয়েছিলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ চাননি। খালেদা জিয়ার এই বক্তব্য বিভিন্ন সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ায় প্রচার হয়।

এ খবর পড়ে ক্ষুব্ধ হন মামলার বাদী নড়াইলের কালিয়ার চাপাইল গ্রামের রায়হান ফারুকী ইমাম। তিনি ২০১৫ সালের ২৪ ডিসেম্বর দুপুরে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে নড়াইল সদর আমলি আদালতে মামলা দায়ের করেন। আদালত ২০১৬ সালের ২৩ আগস্ট খালেদা জিয়াকে সশরীরে আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেন। নির্ধারিত সময়ে খালেদা জিয়া আদালতে হাজিরা না হওয়ায় তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।

গত ৫ জুন জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন শুনানি হলেও ‘নট মেইনটেনবেল বা সমর্থনীয় নয়’ উল্লেখ করে আবেদন নামঞ্জুর করেন আদালত। পরে ২৬ জুন আবার সদরের জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম আদালতে জামিন আবেদন করা হয়। সেখানে ২ জুলাই জামিন আবেদনের শুনানি হয়। ১৭ জুলাই খালেদা জিয়ার জামিন নামঞ্জুর করে রায় দেন আদালত। পরে গত ২৯ জুলাই খালেদা জিয়ার পক্ষে জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিন আবেদন করলে আজ শুনানির দিন ধার্য করা হয়।