স্কুলছাত্রীই ইউএনওকে ফোনে জানাল বাল্যবিবাহের কথা

Looks like you've blocked notifications!

নীলফামারীতে সপ্তম শ্রেণির এক ছাত্রীর বিয়ে দেওয়ার চেষ্টায় কনের বাবাসহ চারজনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।

দণ্ডাদেশপ্রাপ্তরা হলেন কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাগুড়া ইউনিয়নের উত্তর শিঙ্গেরগাড়ী গ্রামের কনের বাবা দুলাল হোসেন (৪৫), মাগুড়া ইউনিয়নের বিবাহ নিবন্ধক নুরুল মুর্তুজা (৪০), বরযাত্রী মহুবার মিয়া (৪৫) ও মতিয়ার রহমান (৪০)।

পুলিশ জানায়, দুলাল হোসেন গতকাল সোমবার রাতে তাঁর সপ্তম শ্রেণিতে পড়ুয়া মেয়ে সুইটি বেগমের সঙ্গে একই গ্রামের রাজ্জাকুল ইসলামের ছেলে আদিল ইসলামের (২৫) বিয়ের আয়োজন করেন। মেয়েটি বিয়েতে রাজি ছিল না। সন্ধ্যায় মেয়েটি মুঠোফোনে কিশোরগঞ্জ উপজেলার নির্বাহী কর্মকতা (ইউএনও) সিদ্দিকুর রহমানের কাছে অভিযোগ করে।

অভিযোগ পাওয়ার পর ইউএনও গিয়ে বিয়ে বন্ধ করার অনুরোধ করেন। এ নিয়ে বাগবিতণ্ডার সৃষ্টি হলে পুলিশ কনের বাবাসহ চারজনকে আটক করে। বাকিরা পালিয়ে যায়।

কিশোরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজার রহমান জানান, ইউএনওর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমাণ আদালত কনের বাবা দুলাল হোসেন, বিবাহ নিবন্ধক নুরুল মুর্তুজা ও বরযাত্রী মহুবার মিয়াকে এক মাস করে এবং অপর বরযাত্রী মতিয়ার রহমানকে তিন দিনের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দেন।