লঞ্চে তরুণীর শ্লীলতাহানির চেষ্টা, আটক ৪
রাজধানী ঢাকা থেকে বরিশালগামী বিলাস বহুল যাত্রীবাহী লঞ্চ ‘এমভি কীর্তনখোলা-২’-এর যাত্রী এক তরুণীর শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করতে গিয়ে বখাটেদের হামলার শিকার হয়েছেন এক যুবক। বুধবার ভোরে এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চারজনকে আটক করেছে পুলিশ। এঁরা হলেন বরিশালের ফকিরবাড়ি রোড এলাকার রাজিল ও রাব্বি, কালিবাড়ি রোড এলাকার ম্যাক্সওয়েল এবং কাউনিয়া ব্রাঞ্চ রোড এলাকার তাহমিদ।
বখাটেদের হামলায় আহত মাসুম রেজাকে বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তিনি কুষ্টিয়া জেলার আলমপুর বালিয়াপাড়া এলাকার বাসিন্দা এবং বেসরকারি ইউল্যাব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী।
ঘটনার শিকার নগরীর বৈদ্যপাড়া এলাকার বাসিন্দা ওই নারী জানান, এ বছর বরিশাল সরকারি মহিলা কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছেন তিনি। আহসানউল্লাহ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়ার জন্য ঢাকায় গিয়েছিলেন তিনি ও তাঁর বোন জোহা।
গতকাল মঙ্গলবার ভর্তি পরীক্ষা শেষে বরিশাল আসার জন্য রাতেই লঞ্চে ওঠেন তাঁরা।
ভাড়া নেন কীর্তনখোলা-২ লঞ্চের ৩২৮ নম্বর কেবিন। লঞ্চে ওঠার পর থেকেই ৩২৬ নম্বর কেবিনের যাত্রী দুই বখাটে নানাভাবে তাঁদের উত্ত্যক্ত করতে শুরু করেন।
রাত ৩টার দিকে টয়লেটে যাওয়ার জন্য ওই ছাত্রী কেবিনের বাইরে বের হলে ওই দুই বখাটে তাকে ধাওয়া করেন এবং কেবিনে ঢুকে তাঁদের শ্লীলতাহানির চেষ্টা চালান। এ সময় এক যাত্রী প্রতিবাদ করলে বখাটেরা তাঁকে মারধর করে বলে অভিযোগ করেন ওই তরুণী।
একপর্যায়ে তাঁরা ডাক-চিৎকার দিলে লঞ্চের অন্য যাত্রীরা ছুটে এসে দুই বখাটেকে আটকের পর আনসারের কাছে হস্তান্তর করেন। তবে এ ঘটনায় লঞ্চ কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা না নিয়ে নীরব ভূমিকায় ছিল বলে অভিযোগ রয়েছে।
ওই ছাত্রী আরো জানান, ভোরে লঞ্চটি বরিশালঘাটে পৌঁছালে পুলিশ দুই বখাটেকে আটক করে। পুলিশ চলে যাওয়ার পর দুটি মোটরসাইকেলে পাঁচ-ছয়জন যুবক এসে তাঁদের ওপর হামলা চালায়। মাথা ফেটে রক্তাক্ত জখম হয় মাসুম নামের যুবকটি। পরে স্থানীয়রা দুজনকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
বরিশাল মহানগর পুলিশের কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাখাওয়াত হোসেন এনটিভি অনলাইনকে জানান, শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে ম্যাক্সওয়েল ও রাজিল নামের দুজনকে এবং পরবর্তী সময়ে হামলার অভিযোগে আরো দুজনকে আটক করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা হবে।
এ ব্যাপারে জানতে লঞ্চ মালিক মঞ্জুরুল আহসান ফেরদৌসের সঙ্গে মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন ধরেননি।