‘স্বেচ্ছাচারিতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে আইন বলে কিছু থাকে না’
কারো স্বেচ্ছাচারীতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে দেশে আইন বলতে কিছু থাকে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সংসদ সদস্য মাহবুব-উল-আলম হানিফ। আলোকচিত্রী শহীদুল আলমের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা প্রসঙ্গে এ কথা বলেন তিনি।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীতে ‘এক্সট্রিমিস্ট অ্যান্ড ফেক কনটেন্টস ইন স্যোশাল মিডিয়া : চ্যালেঞ্জ অ্যান্ড ওয়ে ফরওয়ার্ড’ শীর্ষক এক সেমিনারে হানিফ এ কথা বলেন।
মাহবুব-উল-আলম হানিফ বলেন, যে কেউ সরকারের সমালোচনা করতে পারে, কিন্তু উদ্দেশ্যমূলকভাবে ষড়যন্ত্র করলে তার বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
শহীদুল আলমের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা সঠিক উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, আল জাজিরার সাংবাদিক ওনাকে যেটা জিজ্ঞেস করেছেন সেটাকে বাদ দিয়ে উনি ওনার কাল্পনিক মনগড়া (কথা) দিয়ে সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে কথা বলেছেন, তাতে করে উনি সারা বিশ্বের কাছে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করেছেন বলে দাবি করেন তিনি। শুধু তাই নয়, ওই বক্তব্যের মাধ্যমে দেশের মধ্যে অস্থিতিশীল পরিবেশ তৈরির জন্য শহীদুল আলম উসকানি দিয়েছেন বলেও উল্লেখ করেন হানিফ।
‘এই উসকানিমূলক কথাবার্তার জন্য তাঁর বিরুদ্ধে মামলা হওয়াটা উচিত। কারো বিরুদ্ধে যদি তাঁর স্বেচ্ছাচারীতার কারণে কোনো অ্যাকশন যদি না হয় তাহলে তো এই দেশে কোনো আইনশৃঙ্খলা বলে কিছুই থাকবে না।’ বলেন হানিফ।
সেমিনারে উদ্বোধনী বক্তব্য দেন আয়োজক মুভ ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট সাইফুল হক। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে সব পক্ষের সচেতন হওয়ার প্রয়োজন আছে। গুজব কত বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে কোটা ও ছাত্র আন্দোলনে তার প্রমাণ মিলেছে বলে সেমিনারে উপস্থিত বক্তারা বলেন।