‘সংকটের সৃষ্টি ৫ জানুয়ারির একতরফা নির্বাচন থেকে’
বর্তমান গণতান্ত্রিক ‘সংকটের’ সৃষ্টি ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির ‘একতরফা নির্বাচন’ থেকে; যার মধ্য দিয়ে মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে হত্যা করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মাহবুবুর রহমান।
urgentPhoto
সাবেক এ সেনাপ্রধান বলেন, শিশু থেকে ৮০ বছরের বৃদ্ধা পর্যন্ত ধর্ষণের শিকার হচ্ছেন। হত্যা, খুন, গুম, রাহাজানি, শিশু নির্যাতন নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। আর এ সংকট গণতন্ত্রের সংকট। এ সংকটের সৃষ্টি হয়েছে ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের মধ্য দিয়ে; যে নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার ওপর বিরাট আঘাত করা হয়েছে।
‘যে গণতান্ত্রিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এক সাগর রক্তের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত করেছি, আওয়ামী লীগ বারবার সেই গণতান্ত্রিক চেতনাকে আঘাত করেছে।’ যোগ করেন মাহবুবুর রহমান।
আজ শনিবার সকালে জাতীয় প্রেসক্লাবের হলরুমে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দল আয়োজিত ‘রাজনৈতিক সংকট সমাধানে সকল রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণের বিকল্প নাই’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি বক্তব্যে এসব কথা বলেন বিএনপির নীতি-নির্ধারণী ফোরামের এ নেতা।
বাংলাদেশ ‘পৈশাচিক হত্যার’ দেশে পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ করে মাহবুবুর রহমান বলেছেন, ‘দেশ আজ এক চরম সংকটে পতিত হয়েছে। এই সংকট গণতন্ত্রের। এ সংকট থেকে বের হওয়ার জন্য অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন দরকার, যেখানে সব দলের অংশগ্রহণ থাকবে। এর বাইরে গোঁজামিলের রাজনীতির সুযোগ নেই।’
সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির বেপারীর সভাপতিত্বে আলোচনায় সভায় আরো বক্তব্য দেন জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) সভাপতি শফিউল আলম প্রধান, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট আহমেদ আজম খান, বাংলাদেশ ন্যাপের মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, বিএনপির সহসাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ, কৃষক দলের যুগ্ম সম্পাদক শাহজাহান মিয়া সম্রাট, সাবেক ছাত্রনেতা সুরঞ্জন ঘোষ, জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের অ্যাডভোকেট কানন খান, মো. ইউনুস, মন্টু খান, আবু হানিফ, সাইফুল ইসলাম প্রমুখ।
জাগপা সভাপতি শফিউল আলম প্রধান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের কাছে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব কিছুই নিরাপদ নয়। আমরা কে কী করলাম এটি বিষয় নয়, ইতিহাসের ধারাবাহিকতার অনিবার্য পরিণতি থেকে স্বৈরশাসক আওয়ামী লীগের মুক্তি নেই। জনরোষের মুখে গণ-আন্দোলনের মধ্য দিয়েই ভোটারবিহীন নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত স্বৈরাচারের পতন হবে।’