নড়াইলে বিদ্যালয়ের পলেস্তারা ভেঙে দুই শিক্ষার্থী আহত

Looks like you've blocked notifications!

নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলায় ক্লাস চলার সময় একটি বিদ্যালয় ভবনের পলেস্তারা ভেঙে পড়ে দুই শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। আজ সোমবার দুপুরে উপজেলার আমাদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ওই ঘটনা ঘটে।

আহত দুজন হলো অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থী বিল্লাল ও সিফাত।

বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জানায়, প্রায় পাঁচ বছর ধরে আমাদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একতলা ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। বৃষ্টি হলে ছাদ দিয়ে পানি পড়ে ও প্রায়ই ছাদের পলেস্তারা ভেঙে পড়ে। এ কারণে পাঠদান ব্যাহত হচ্ছে। ১৯৯৫ সালের দিকে নির্মিত ভবনটি বর্তমানে ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। আজ অল্পের জন্য বড় ধরনের বিপদ থেকে রক্ষা পেয়েছে শিক্ষার্থীরা।

আজকের দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে ক্লাসে উপস্থিত শিক্ষক বলেন, ‘ক্লাস শুরু হওয়ার পরেই, একটু পরেই ছেলেমেয়েরা পাশাপাশি ক্লাস করতেছিল, তাঁর মধ্যে ভাইঙ্গে-চুরে আইসে নিচে পড়ছে, টেবিলের পর। দুজন ছেলের মাথা কাটছে, এবং তারা খুবই আহত।’

ঝুঁকিপূর্ণ শ্রেণিকক্ষে আতঙ্ক নিয়ে ক্লাস করতে হয় উল্লেখ করে এক শিক্ষার্থী বলে, ‘স্কুল যদি এ রকম থাকে, আমরা ক্লাস করতে পারব না।’

আরেক শিক্ষার্থী বলে, ‘স্যার যখন ক্লাস নেয়, তার চেয়ে মনোযোগ বেশি থাকে ওই ভাঙা ছাদের দিকে, কখন কী হয় বলা যায় না সেই জন্য।’

বিদ্যালয়টিতে আরো দুটি টিনশেড ঘর থাকলেও শ্রেণিকক্ষের অভাবে ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটিতেই শিক্ষা কার্যক্রম চালানো হচ্ছে। এটিতে শিক্ষকদের অফিস রুম, মেয়েদের কমনরুম ও অষ্টম শ্রেণির পাঠদান করা হয়।

আমাদা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নির্মল কুণ্ডু বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ ভবনটির ব্যাপারে ইতিমধ্যে জেলা প্রশাসক ও স্থানীয় সংসদ সদস্যকে অবগত করা হয়েছে। তবে নতুন ভবন বা সংস্কারের বিষয়ে কোনো সাড়া মেলেনি। এ ক্ষেত্রে আমরা নতুন একটি ভবন নির্মাণের দাবি করছি, তাতে করে পাঠদানসহ শিক্ষা কার্যক্রম আরো গতিশীল হবে।’