‘কোন্দলে আনেয়া বাহিনীর ৩ ডাকাত নিহত’
বান্দরবানের বাইশারী এলাকায় গুলিবিদ্ধ তিন ব্যক্তির লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশের দাবি, ওই তিন ব্যক্তি একটি ডাকাত দলের সদস্য। অভ্যন্তরীণ কোন্দলের জেরে তাঁরা হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।
আজ রোববার সকাল ৯টার দিকে বাইশারীর থ্রি স্টার রাবার বাগান এলাকা থেকে তিন ব্যক্তির গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
তাঁরা হলেন মো. আনোয়ার ওরফে আনেয়া। তিনি নিজের নামে একটি বাহিনী চালান বলে পুলিশ দাবি করেছে। অন্য দুজন হলেন মো. হামিদ ও বাপ্পী। তাঁদের সবার বাড়ি কক্সবাজারের রামু ও মহেশখালী উপজেলায়।
জেলা পুলিশ সুপার জাকির হোসেন মজুমদার বলেন, ‘বাইশারী থেকে আনেয়া বাহিনীর প্রধান আনোয়ারসহ তাঁর দুই সহযোগীর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। ডাকাত দলের দুটি অস্ত্রধারী গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারের দ্বন্দ্বে এ হত্যাকাণ্ড ঘটে থাকতে পারে।’
‘এ সময় মরদেহগুলোর পাশ থেকে তিনটি একনলা বন্দুক, একটি এলজি রাইফেল, পাঁচটি গুলি, তিনটি গুলির খোসা এবং চারটি মোবাইল সেট উদ্ধার করা হয়েছে।’
তিন ‘ডাকাতের’ মৃত্যুতে এ অঞ্চলে এখন ‘শান্তি ফিরে আসবে’ বলেও দাবি করেন পুলিশ সুপার।
বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলম বলেন, ‘আনেয়া বাহিনীর হাতে বাইশারী, ঈদগড়, ঈদগাড়, জারুলিয়াছড়ি, গর্জনিয়াসহ আশপাশের এলাকার মানুষেরা এত দিন জিম্মি ছিল। এ অঞ্চলকে অপহরণ, হত্যা এবং ডাকাতির স্বর্গরাজ্য বানিয়েছিল ডাকাতরা।’
স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই অভিযোগ করেন, আনেয়া বাহিনীর অপহরণ, হত্যা এবং চাঁদাবাজিসহ অপরাধমূলক নানা কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ ছিল নাইক্ষ্যংছড়ি ও রামু উপজেলার বাসিন্দারা।
ময়নাতদন্তের জন্য লাশগুলোকে জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।