মেঘনায় নামেননি অর্ধলক্ষাধিক জেলে
ইলিশের প্রজনন মৌসুমে মাছ ধরায় সরকারের নিষেধাজ্ঞা অনুযায়ী মধ্যরাত থেকেই মেঘনা নদীতে নামেননি লক্ষ্মীপুরের অর্ধলক্ষাধিক জেলে।
৭ থেকে ২৮ অক্টোবর পর্যন্ত ইলিশের ভরা প্রজনন মৌসুম হওয়ায় লক্ষ্মীপুরের মেঘনা নদীতে ২২ দিন ইলিশসহ সব মাছ শিকারের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এ সময় মাছ শিকার, পরিবহন, মজুদ ও বাজারজাত নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এ আইন অমান্য করলে রয়েছে জেল-জরিমানার বিধান।
আজ রোববার সকাল থেকে রায়পুর, কমলনগর, রামগতি ও সদর উপজেলার মেঘনা নদীতে মাছ ধরার কোনো নৌকা দেখা যায়নি।
জেলা মৎস্য কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপকূলীয় এ জেলায় প্রায় ৬০ হাজার জেলে রয়েছে। ২২ দিন মাছ ধরা থেকে বিরত রাখতে জেলেদের মধ্যে ভিজিএফের চাল বিতরণ করবে সরকার।
প্রজনন মৌসুমে মা ইলিশ রক্ষা অভিযান সফল করতে প্রচারপত্র, পোস্টার ও মাইকিংয়ের মাধ্যমে স্থানীয় প্রশাসন জেলেসহ সবার মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেয়।
এ ছাড়া বরফকলের বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে বরফ আনা-নেওয়া, নদীসংলগ্ন খাল থেকে নৌকা বের হওয়া, মাছঘাটসংলগ্ন বাজারের নৌকা ও ট্রলারের জ্বালানি তেলের দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছে প্রশাসন।
লক্ষ্মীপুর জেলা মৎস্য কর্মকর্তা এস এম মহিব উল্লাহ বলেন, নিষেধাজ্ঞার এই ২২ দিন ইলিশের প্রজনন মৌসুম। মা ইলিশ যেন নির্বিঘ্নে ডিম পাড়তে পারে, এ জন্য নদীতে মাছ শিকার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
এ সময়ে মা ইলিশ রক্ষায় পুলিশ, কোস্টগার্ড, উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য অধিদপ্তরের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।