জাতীয় ঐক্য যারা করেছে তাদের গ্রহণযোগ্যতা নেই : নাসিম

জাতীয় ঐক্য যারা করেছে তাদের গ্রহণযোগ্যতা নেই বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম। তিনি বলেছেন, জাতীয় ঐক্যের নামে ড. কামাল হোসেন ও বদরুদ্দোজা চৌধুরী যতই ষড়যন্ত্র করুক নির্বাচন ঠেকাতে পারবে না। নির্বাচন যথা সময়ে অনুষ্ঠিত হবে।
আজ শনিবার সন্ধ্যায় খুলনার শহীদ হাদিস পার্কে ১৪ দলের মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এ কথা বলেন মোহাম্মদ নাসিম। ১৪ দল খুলনা মহানগর ও জেলা শাখা এ মহাসমাবেশের আয়োজন করে।
মোহাম্মদ নাসিম বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে সংবিধান অনুসারে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কবর হয়ে গেছে। ইউরোপ ও আমেরিকার মতো এখানেও জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন বানচালকারীদের চক্রান্ত নসাৎ করা হবে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, মেসি নেইমার গোল মিস করতে পারে, কিন্তু শেখ হাসিনা গোল মিস করবেন না। যদি বুকের পাটা থাকে নির্বাচনে আসেন। ফাউল করবেন না, ফাউল করলে লাল কার্ড দেখাই দেবো। আপনি ক্ষমতায় ছিলেন, স্বামী হত্যার বিচার করতে পারেনি। চক্রান্ত শুরু হয়ে গেছে। শেখ হাসিনার কোনো বিকল্প নেই, তাঁর বিকল্প শেখ হাসিনা। এই দুনিয়ার কেউ ঠেকাতে পারবে না, নির্বাচন হবেই।
মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বক্তব্যের জবাবে নাসিম বলেন, বিডিআর হত্যাকাণ্ডের বিচার শেখ হাসিনার সরকার করেছে। কিন্তু খালেদা জিয়া ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচার করেননি। এমনকি তার স্বামী জিয়াউর রহমান হত্যার বিচারও তিনি করেননি।
আওয়ামী লীগসহ ১৪দলের নেতা-কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নৌকায় ভোট চাওয়ার আহ্বান জানিয়ে নাসিম বলেন, পদ্মা সেতুর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করতে হলে নৌকা মার্কাকে বিজয়ী করতে হবে। আর শেখ হাসিনা যাকে মনোনয়ন দেবেন তার জন্য সকলকে কাজ করতে হবে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সিটি করপোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাম্যবাদী দলের সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, বাংলাদেশ জাসদের সভাপতি শরীফ নূরুল আম্বিয়া, বাংলাদেশের ওয়াকার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক ডা. শাহাদাৎ হোসেন, কেন্দ্রীয় আওয়ামীলীগের সদস্য মন্নুজান সুফিয়ান, এস এম কামাল হোসেন, ন্যাপের (মোজাফফার) কেন্দ্রীয় নেতা ইসমাঈল হোসেন ও জেপির মহাসচিব শেখ শহিদুল ইসলাম।
বক্তৃতা করেন ভাইস চেয়ারম্যান শরীফ শফিকুল হামিদ চন্দন, সাম্যবাদী দলের স্থানীয় নেতা এফ এম ইকবাল হোসেন, ওয়াকার্স পার্টির নেতা মিনা মিজানুর রহমান, সংসদ সদস্য মুহাম্মদ মিজানুর রহমান মিজান, জেলা আওয়ামী লীগ নেতা সুজিত অধিকারী।