জেএসএসের সশস্ত্র শাখার দুই চিকিৎসা সহায়তাকারী আটক
সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সশস্ত্র গ্রুপকে চিকিৎসা সহায়তা দেওয়ার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে দুইজনকে আটক করেছে যৌথবাহিনী। আজ মঙ্গলবার দুপুরে রাঙামাটি শহরের ট্রাইবাল আদাম এলাকা থেকে তাঁদের আটক করা হয়। এঁরা হলেন বিকি চাকমা (২৩) ও সঞ্জয় চাকমা (২৪)।
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী জানিয়েছে, শহরতলীর ট্রাইবাল আদাম এলাকায় একটি পাহাড়ের পাশে একটি বাসা ভাড়া নিয়ে জনসংহতি সমিতির সশস্ত্র সদস্যদের চিকিৎসা সহায়তা প্রদানের কাজে ‘মিনি ক্লিনিক’ হিসেবে ব্যবহৃত হয়, এমন একটি বাসা ঘেরাও করে ওই দুজনকে আটক করা হয়। এ সময় তাঁদের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ চিকিৎসা সেবার কাগজপত্র, চিকিৎসা উপকরণ এবং জেএসএস সশস্ত্র গ্রুপের কর্মী ও তাদের পরিবারের নামের তালিকা উদ্ধার করা হয়।
রাঙামাটিতে জেএসএসের সশস্ত্র গ্রুপকে চিকিৎসা সেবার কাগজপত্র, চিকিৎসা উপকরণসহ বিভিন্ন কাগজ উদ্ধার করা হয়েছে। ছবি : এনটিভি
অভিযানে অংশ নেওয়া রাঙামাটির কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সৌরজিৎ বড়ুয়া বিষয়টি নিশ্চিত করে জানিয়েছেন, আটককৃতদের বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন, এরা দুজন অবৈধ অস্ত্রধারী গ্রুপের চিকিৎসক হিসেবে কাজ করেন।
আটকের পর সাংবাদিকদের সামনে আনা হলে দুজন অভিযোগ স্বীকার করেন। আটক বিকি চাকমা বলেন, ‘আমার বাবা পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সশস্ত্র গ্রুপের সদস্য। আমার বাবা বলেছে বলেই আমি এই পেশায় কাজ করছি। প্রায় তিন-চার বছর ধরে আমি এই পেশায় কাজ করে যাচ্ছি। প্রতি মাসে আমাকে দুই হাজার টাকা করে দেওয়া হয়।’
রাঙামাটিতে জেএসএসের সশস্ত্র গ্রুপকে চিকিৎসা সেবার কাগজপত্র, চিকিৎসা উপকরণসহ বিভিন্ন কাগজ উদ্ধার করা হয়েছে। ছবি : এনটিভি
আরেক আটক সঞ্জয় চাকমা (২৪) বলেন, ‘সশস্ত্র গ্রুপের সদস্য যারা আছেন তাদের এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের চিকিৎসায় আমরা সহযোগিতা করে থাকি। এমন প্রায় ৯০ জন সদস্য রাঙামাটিতে আছেন বলে জানান তিনি। চিকিৎসার সব ব্যয় বিকাশে পাঠানো হয়। বেশি অসুস্থ রোগীকে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা প্রদানের ব্যবস্থা করে থাকি।’
এই ব্যাপারে জানার জন্য জনসংহতি সমিতির মুখপাত্র সজীব চাকমার সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও তাঁর ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি বন্ধ পাওয়া গেছে।