পর্যটকদের ভিড়ে মুখর কুয়াকাটা

Looks like you've blocked notifications!
পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সৈকতে পর্যটকদের ভিড়। ছবি : এনটিভি

সূর্যোদয় আর সূর্যাস্ত অবলোকন করার সাগরসৈকত পটুয়াখালীর কুয়াকাটা এখন পর্যটকদের ভিড়ে মুখর। প্রকৃতির সব রূপ আর যৌবন দিয়ে সাজানো কুয়াকাটা সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েই পর্যটকদের স্বাগত জানাচ্ছে।

এরই মধ্যে তিনটি ব্রিজের একটি ব্রিজ খুলে দেওয়ার পর হাইওয়ে সড়কে নির্বিঘ্নে পর্যটকদের আরামদায়ক চলাচল আরো এক ধাপ এগিয়ে নিয়েছে। নভেম্বরের মধ্যে অন্য ব্রিজগুলোকে খুলে দেওয়া হবে বলে জানালেন পটুয়াখালী সওজের নির্বাহী প্রকৌশলী জহিরুল ইসলাম।

সাগরপাড়ে ট্যুরিস্ট পুলিশের নিরাপত্তাবেষ্টনী আর হোটেল মোটেল ব্যবসায়ীদের আতিথেয়তা যেন মুগ্ধ করেছে কুয়াকাটায় আসা পর্যটকদের।

উত্তাল সাগরের ঢেউ, নেই কোনো চোরাবালি, সব মিলিয়ে স্বাচ্ছন্দ্যে পুরো পরিবার নিয়ে ভ্রমণে হাতছানি দিচ্ছে কুয়াকাটা সমুদ্রসৈকত। মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে পূর্বে গঙ্গামতি আর পশ্চিমে খাজুরার বন পর্যটকদের পদভারে জমে উঠেছে।

রাখাইনদের সর্ববৃহৎ মন্দির এবং মিশ্রিপাড়ার বৌদ্ধমূর্তি, কুয়াকাটার পাতকুয়া, ইকোপার্ক, খাজুরা গহিন বনের ইকোপার্ক, কাউয়ার চরের বিশালাকৃতির বিচ আর গঙ্গামতির বনায়ন ও বিচে লাল কাঁকড়ার সমাবেশ, টুফানিয়ার চরদ্বীপ, সোনার চর, শুঁটকিপল্লী, রাখাইনপাড়ার তাঁতশিল্পসহ আরো কত যে আকর্ষণীয় স্পট হাতছানি দিয়ে ঢাকছে কুয়াকাটায় পর্যটকদের। 

ফরিদপুর থেকে আসা পর্যটক দম্পতি নাসরিন এমা ও তাঁর মেয়ে ইভা জানান, কুয়াকাটার সাগর আর নিরাপদ সৈকত দেখে তারা মুগ্ধ।

তারা আবেগাপ্লুত হয়ে জানালেন, সৈকতের ভাঙন রোধ করা গেলে কুয়াকাটা হবে বিশ্বের প্রথম সারির পর্যটনকেন্দ্র।

কুয়াকাটা হোটেল মোটেল মালিক অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোতালেব শরীফ জানান, এবার ঈদে ঘরমুখো মানুষের ভিড় তেমন একটা না থাকলেও কুয়াকাটায় পর্যটকদের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যণীয়।

কুয়াকাটা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত উপপরিদর্শক (এসআই) সঞ্জয় মণ্ডল জানান, ঈদের ছুটিতে কুয়াকাটায় আগতদের নিরাপত্তার চাদরে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। পর্যটকরা নির্বিঘ্নে কুয়াকাটাকে উপভোগ করবে।

কলাপাড়ার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও কুয়াকাটা বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সভাপতি মো. জাহাঙ্গীর আলম জানান, কুয়াকাটার সৌন্দর্যমণ্ডিত যেসব স্থাপনা রয়েছে, সেগুলোকে পর্যটকদের কাছে তুলে ধরার জন্য পর্যটন দিবসে ব্যাপক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।