নির্বাচনে থাকতে পারলে বিজয় সুনিশ্চিত : মির্জা ফখরুল
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেষ পর্যন্ত থাকতে পারলে বিজয় সুনিশ্চিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘আমরা চেষ্টা করছি শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকতে। সরকার ও নির্বাচন কমিশন সেখানে বড় রকমের বাধা সৃষ্টি না করলে আমাদের বিজয় সুনিশ্চিত।’
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের মতিঝিলের চেম্বারে আজ রোববার দুপুর ১২টায় বৈঠকে বসেন ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। বৈঠক শেষে মির্জা ফখরুল এই কথা বলেন।
বৈঠকে ড. কামাল হোসেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, বঙ্গবীর আবদুল কাদের সিদ্দিকী, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফা মোহসীন মন্টু, নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।
জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ও বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা কখন হবে—জানতে চাইলে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘এখন পর্যন্ত এ নির্বাচন কোনো বিশ্বাসযোগ্যতা অর্জন করতে পারেনি যে সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে। আমরা বারবার এ কথা বলেই যাচ্ছি। আমরা নির্বাচন প্রক্রিয়া অব্যাহত রেখেছি। নির্বাচনে অংশ নিতে চাই।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি হলে নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে। নির্বাচন কমিশন ও সরকারের আচরণে এটা বোঝা যায়নি নির্বাচনকে অবাধ ও সুষ্ঠু করতে তাদের কোনো আগ্রহ আছে। এখনো আমাদের নেতাদের গ্রেপ্তার করছে। যারা সম্ভাব্য প্রার্থী, তাদের গ্রেপ্তার করে কারাগারে পাঠানো হচ্ছে।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের সিনিয়র লিডারদেরও আটকে রাখা হয়েছে। তারপরও আমরা নির্বাচনের যে কাজগুলো আছে, সেগুলো শেষ করছি। গত চার দিন আমাদের, ২০ দলের ও ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের সাক্ষাৎকার হয়েছে। এখন আমরা এটাকে চূড়ান্ত করব। আশা করছি, একটা ঐকমত্যে আসব।’
মির্জা ফখরুল আরো বলেন, ‘২৮ তারিখের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) মনোনয়ন জমা দিতে হবে। তার মাঝেই আমরা কিছু চূড়ান্ত করব। তার পরে প্রত্যাহারের শেষ সময় আছে। বাকিটা তখন করব, যদি দরকার পড়ে।’
ইসির বিষয়ে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনার মাহবুব তালুকদার পুলিশের সঙ্গে মিটিংয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন, সেটিই যথেষ্ট। এ নিয়ে আর বলার কিছু নেই। আর গতকালের বক্তব্য তো আরো ভয়ানক। সিইসি বলেছেন, পুলিশ তাদের নিয়ন্ত্রণে, যা করছে সব তাদের নির্দেশে। তার মানে তফসিলের পর যত গায়েবি মামলা হচ্ছে, সব ইসির নির্দেশে হচ্ছে।’